ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ঠাকুরগাঁওয়ে মিললো বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
ঠাকুরগাঁওয়ে মিললো বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার হওয়া বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই। ছবি: বাংলাইনউজ

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার সদর ও রানীশংকৈল উপজেলার সীমান্তে কুলিক নদী পার হওয়ার সময় একটি বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার করেছেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার পটুয়া এলাকায় পথচারীরা এটিকে ধাওয়া দিলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌড়ে যদুয়ার কুলিক নদী পার হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক মিলে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন।

ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার যদুয়ার গ্রামের যুবক আব্দুল বারেক বাংলানিউজকে জানান, ‘নদীতে এটিকে দেখে আমরা মনে করেছিলাম হরিণ।

তখন আমরা নদীর চারপাশে ঘেরাও করে ডুব দিয়ে পানির নিচে গিয়ে প্রাণীটিকে ধরি। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এটিকে পানির ওপর তুলে নিয়ে আসা হয়। ’

‘এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমায়। এসময় স্থানীয় মুরুব্বিরা প্রাণীটিকে দেখে নীলগাই বলে শনাক্ত করেন। ’

একই গ্রামের বাসিন্দা আমিন বাংলানিউজকে জানান, ‘নীলগাইটি ধরার সময় এটির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে বুধু ও মকবুল নামে দু’জন আহত হয়েছেন। পরে ওই গ্রামের জাহিদ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে প্রাণীটিকে রাখা হয়। ’

খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, রানীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি আফরোজা বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটি যদুয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা জন্য জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে।

ঠাকুরাগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নীলগাইটিকে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দিনাজপুর বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে ৩ ফুট। দেহের দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এটি স্ত্রী নীলগাই। সুস্থ করে তোলার পর এটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান ডিসি।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উদ্ধার হওয়া নীলগাইটি ৩-৪ মাস ধরে সদর উপজেলার রহিমানপুর পটুয়া এলাকায় বসবাস করছিল। স্থানীয়দের ধারণা এটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এলাবাসীর ফসল নষ্ট করায় সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবেই প্রাণীটিকে ধরতে পারেনি। তবে এবার ধরার পর এলাকার লোকজন বুঝতে পারে নীলগাইটির পেটে বাচ্চা রয়েছে।

দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়ের মাঠে-ঘাটে একসময় নীলগাইয়ের দেখা মিলতো। স্ত্রী নীলগাই লালচে বাদামি। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নীলচে ধূসর। জ্যোৎস্না রাতে দল বেঁধে এরা মাঠে ঘাস বা বিভিন্ন জাতীয় তৃণ খেতে বের হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।