বন্যপ্রাণী গবেষণা এবং অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এমন তাবুর বিকল্প নেই। বহুকাল ধরে গবেষণার কাজে এটি ব্যবহার করে আসছেন গবেষকরা।
প্রতিবছর বাইক্কা বিলে শীত মৌসুমে পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে গবেষকদের একটি দল সেখানে আসেন। তাদের রাত্রিযাপনে নির্ভরতার অংশ হিসেবে দেখা যায় এই তাবুর ব্যবহার। খোলা আকাশের নিচে এক বা একাধিক তাবুর ব্যবহার দেখা যায়।
বন্যপ্রাণী গবেষক ফয়সাল আহমেদ পিয়াস বলেন, এটি যথেষ্টই আরামদায়ক। অনায়সে এর ভেতর দু-একটি বা তারও বেশি রাত কাটানো যায়। তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। এর ভেতরে নেটের একটি জানালা আছে। প্রয়োজনে এটি খোলা বা লাগানো যায়। একেকটি তাবুর ভেতর এক বা দু’জন করে অবস্থান করতে পারে।
এর দরদাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে এক-দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে এগুলোর দাম। দামিগুলো নির্ভর করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও মানের উপর। ছবিতে দেখানো তাবুটি তেমন দামি নয়। সাড়ে তিন হাজার। এটি চায়নার তৈরি। তবে এটি ওয়াটারপ্রুফ নয়।
এর ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গবেষণার কাজে আমরা যখন ফিল্ডওয়ার্কে যাই, তখন সেখানে কোনো বাড়ি বা আবাসন থাকে না। এমন অবস্থায় এই তাবুই আমাদের অবলম্বন। এটি টাঙানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। যেমন- জাগয়াটা উঁচু-নিচু বা গাছের শেকড়-বাকড় থাকতে পারবে না, জাগয়াটা একেবারে সমতল হতে হবে।
দেশে এর ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা গ্রুপ ভিত্তিক মাঠ পর্যায়ের গবেষণার কাজে গেলে সাধারণত এই কমদামি তাবুগুলোই বেশি ব্যবহার করে থাকে। শীত মৌসুমে কুয়াশা থেকে রক্ষা পাবার জন্য এর উপরে ওয়াটারপ্রুফ কাপড় বা আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
তাবুর সামনের দিকে শক্ত চেইন থাকে। ভেতরে প্রবেশ করে চেইন দিয়ে আটকে দিলে শক্তভাবে লেগে যায় এবং কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে আর ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না বলে জানান ফয়সাল আহমেদ পিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
বিবিবি/এএটি