আর নতুন এ প্রজাতির ব্যাঙয়ের সন্ধান পান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।
নতুন এই ব্যাঙের ইংরেজি নাম গ্রিন ক্যাচকেড ফ্রগ Green Cascade Frog।
অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের ১৮ তারিখে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনাঞ্চলে আমার টিম নিয়ে প্রাণী গবেষণার কাজ করছিলাম। সকাল ১১টার দিকে আমি একটি ঝর্ণার ধারে ব্যাঙটি দেখতে পাই। ব্যাঙটি হাতে নিয়ে ছবি তুলি ও মাপ নিয়ে ছেড়ে দেই। ব্যাঙটি ছেড়ে দেওয়ার পর আমার হাত চুলকাচ্ছিল। এর পরেরদিন আমরা একই স্থানে একটি স্ত্রী ব্যাঙ দেখতে পাই। পরে তথ্য উপাত্ত ঘেঁটে দেখতে পাই ব্যাঙ দু’টি গ্রিন ক্যাচকেড ফ্রগ প্রজাতির। এই ব্যাঙ আগে এদেশের কোথাও দেখা যায়নি।
তবে ভারতের মেঘালয়, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এই ব্যাঙ পাওয়ার রেকর্ড আছে বলে জানান তিনি।
এই অধ্যাপক আরো জানান, এই প্রজাতির ব্যাঙের মধ্যে পুরুষ ব্যাঙ সাধারণত স্ত্রী ব্যাঙের চেয়ে ছোট হয়। স্ত্রী ব্যাঙের দৈর্ঘ্য ছিল ৬.৭ সেন্টিমিটার। পুরুষ ব্যাঙের দৈর্ঘ্য ছিল ৫ সেন্টিমিটার। এর জীবন-আচরণ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। কারণ এই ব্যাঙ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। আমরা এ প্রজাতির ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করবো। তবে এ দেশে এই প্রজাতির ব্যাঙই একমাত্র বিষাক্ত ব্যাঙ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
জেডএস