পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরদের কাছে কাশের এই প্রজাতিটির গুরুত্ব রয়েছে। এটি দিয়ে তারা ঝাড়ু, ঘরের বেড়া, ঘরের চাল ও ঝুড়ি তৈরি করেন।
প্রকৃতি বিষয়ক লেখক মোকারম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ি কাশ ঘাসের একটি প্রজাতি। এর ইংরেজি নাম Pin-reed grass এবং বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum arundinaceum। এগুলো পাহাড় ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সহজলভ্য।
পাহাড়ি কাশের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, পাহাড়ি কাশ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এরা গুচ্ছ আকারে বা ঝাড় আকারে বেড়ে ওঠে। উচ্চতায় এরা দশ-পনের ফুট লম্বা হয়। নদী, চর বা ছড়ার ধারে ফোটা কাশের থেকে পাহাড়ি কাশগুলো একটা আলাদা। শেষের দিকে ফুলগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
এই পাহাড়ি কাশের পরিবারের আরো একটি কাশের প্রজাতি রয়েছে যেটা থেকে ফুলের ঝাড়ু তৈরি হয়। সমতলভূমিতে এদের দেখা পাওয়া যায় না। ভূমির ক্ষয়রোধে এই পাহাড়ি কাশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানান উদ্ভিদ গবেষক মোকারম হোসেন।
লাউয়াছড়ার বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনই এগুলো লাউয়াছড়ায় ফুটে রয়েছে। শীত মৌসুমে প্রতিবছর ফুটতে দেখা যায়। দু-তিন সপ্তাহ ফুটে থাকে; তারপর আস্তে আস্তে ঝরে যায়। স্থানীয়দের কাছে এ উদ্ভিদটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ফুল-ঝাড়ুর হাতা তৈরির জন্য যে শক্ত কাঠিগুলো লাগে স্থানীয়রা এই পাহাড়ি কাশের ডাটিগুলো দিয়ে সেই ফুল-ঝাড়ুর হাতা তৈরি করে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
বিবিবি/এএ