বাইক্কাবিলের জলাশয় আর ডাঙায় ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে তাদের। জলজ উদ্ভিদের কচি পাতা, জলচর পোকা ধরে ধরে খেতে পটু চঞ্চল স্বভাবের এই পরিযায়ী।
মানুষের উপস্থিতি বা বিপদসংকেত পেলেই উড়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছুঁয়ে যায়। এই ‘মেটেমাথা-টিটি’কে ‘ধূসর টিটি’ হিসেবেও ডাকা হয়। জলাভূমি সংলগ্ন হালকা কাঁদায় নেমে, আনন্দের খাবারের সন্ধানে এদিক-ওদিক হাঁটা তাদের চারিচিক বৈশিষ্ট্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এ পাখিটির ইংরেজি নাম Grey-headed Lapwing এবং বৈজ্ঞানিক নাম Vanellus cinereus। এর আকারে ৩৭ সেন্টিমিটার এবং ২৮৪ গ্রামের পাখি।
পাখিটির শারীরিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এর পা লম্বা এবং হলুদ রঙের। মাথা ধূসর। গলা এবং পিঠ বাদামি। চোখ লাল রঙের। এরা পতিত জমি, ধানক্ষেত, স্যাঁতসেঁতে চারণভূমিতে ঝাঁক বেঁধে বিচরণ করে বেড়ায়। এদের খাদ্য তালিকায় পোকা, কেঁচো ও শামুক-জাতীয় প্রাণী।
এই পাখিটিকে শীতকালে আমাদের দেশের জলাভূমিতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ এশিয়ায় এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে বলেও জানান ড. কামরুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
বিবিবি/এএটি