শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বনবিভাগ বাঘটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বনবিভাগ এটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া এলাকায় একটি চিতাবাঘ সবার নজর পরে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ও বনবিভাগ গিয়ে বাঘটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। বাঘটি এসময় এলাকাটির পাথরাজ নদীর একটি ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিল।
ওই এলাকার আলী মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গমির আলী নামে এক কৃষক ও তার ছেলে-মেয়েরা বাঘটিকে প্রথম দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশী কয়েকজন মিলে লাঠি নিয়ে বাঘটিকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। তখন তাড়া খেয়ে বাঘটি পাথরাজ নদীর ঝোপে আশ্রয় নেয়। দুপুর থেকে লোকজন চারদিকে থেকে ঘিরে রাখায় বাঘটি আর পালাতে পারেনি। পরে এলাকাবাসী নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে ওই বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
বোদা উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাঘটি উদ্ধারের জন্য জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কার্যালয় ঢাকায় জানানো হয়েছিল।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান মো. আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বনবিভাগ বাঘটিকে উদ্ধার করতে না পারায় স্থানীয়রা এটিকে পিটিয়ে মারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
টিএ