এ পাখিগুলো ছোট ঘাস জাতীয় তৃণভূমির কীটপতঙ্গ ঠোঁটে গুঁজে রসনার ভোজ সারে। বাংলায় এই সুন্দর পাখিটির নাম ‘হলদেচোখ-ছাতারে’ এবং ইংরেজি নাম Yellow-eyed Babbler।
পাখি পর্যবেক্ষক ও গবেষক নাজিম উদ্দিন প্রিন্স বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইয়েলো-আইড বেবলার’ পাখিটি আমাদের দেশেরই পাখি। তবে এরা বিরল আবাসিক পাখি। সবসময় তাদের দেখা পাওয়া যায় না। এরা মূলত ঘাসবনের বিরল পাখি। আমাদের দেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের কিছু এলাকা এবং উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ পঞ্চগড়, তেতুলিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ে এই পাখিটির বিস্তৃতি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে পাখিগুলো সম্পর্কে আমরা কম জানি তাদের ইংরেজিতে আমরা বলি ‘লিটল নোওন পিসেস’। এই লিটল নোওন পিসেস পাখিগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য অর্থাৎ এরা কি পরিমাণে আছে, আগে থেকে তাদের সংখ্যা বেড়েছে, নাকি কমেছে প্রভৃতি তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে পাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এর উপর তো আমাদের কোনো স্টাডি হয়নি।
বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এ গবেষক বলেন, ‘মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ৩ গ্রাম ওজনের এই পাখিগুলো মূলত ঘাসবনের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল পাখি। ঘাসবন ছাড়া এরা কিন্তু গাছের ডালে থাকে না। খাবার সংগ্রহে বড় ঘাস বা নলখাগড়ার ঝোপে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের দেশে বড় প্রজাতির ঘাস যেটুকু আছে তাও মানুষ কেটে নিয়ে যায়। ফলে এই ঘাসগুলো বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি এই পাখিগুলোর জীবন এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। ’
পরিবেশ বিপর্যয় এবং আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে আমাদের দেশের প্রায় সব পাখিই মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন বলে জানান বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পাখি পর্যবেক্ষক নাজিম উদ্দিন প্রিন্স।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
বিবিবি/আরআর