শীতনিদ্রার আচ্ছন্ন এমন একটি সাপকে ইট সরাতে গিয়ে হঠাৎ পেয়ে যান বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ। তারপর তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও ওজন প্রভৃতির ‘ডাটাবেস’ (তথ্যাবলি) সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবারই (১৭ জানুয়ারি) ওই এলাকায় সাপটিকে ছেড়ে দেন।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, আজই বান্দরবানের নাইখনছড়িতে এই বার্মিজ পাইথনকে (অজগর) ইট সরাতে গিয়ে পেয়েছি। এর বয়স ৮/৯ মাস হবে। শীতের সময় অজগর সাপেরা হাইবারনেশনে (শীতনিদ্রায়) যায়। কোনো গর্তে, কোনো গুহায় বা কোনো গাছের কোটরের ভেতরে এর শীতনিদ্রায় যায়। এ রকমই ইট সাজানো একটা স্থানে একে পাই।
তিনি আরও বলেন, শীতনিদ্রার সময় সাপেরা খুব দুর্বল থাকে। তখন সাপের গায়ে তেমন শক্তি থাকে না। ঠিক তেমনি ছিল সাপটি। পরে এই সাপটির বিভিন্ন তথ্যবালি নিয়ে তাকে অন্য একটি নির্জন গর্তে ছেড়ে দিই। সে গর্তের ভেতরে চলে যায়। আমি সাপ পেলে একে ধরে আগে এর উচ্চতা মাপি। তারপর এর ‘ডাটাবেস’ (তথ্যাবলি) তৈরি করে রাখি। যাতে করে এই তথ্যগুলো হয়তো কোনো এক সময় গবেষকদের কাজে লাগতে পারে বলেও জানান আদনান আজাদ আসিফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
বিবিবি/এএটি