ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

আবার শীতনিদ্রায় চলে গেলো ‘শিশু অজগর’

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
আবার শীতনিদ্রায় চলে গেলো ‘শিশু অজগর’ শিশু অজগর হাতে বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ, ছবি : বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: শীত মৌসুমে হাইবারনেশন অর্থাৎ শীতনিদ্রায় চলে যায় সাপ। মাটির গর্ত বা নির্জন এলাকায় গিয়ে তারা কাটিয়ে দেয় কয়েকটি মাস। এ সময় তারা শিকার করা এবং খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। না খেয়েই কাটিয়ে দেয় পুরো শীত মৌসুম। এ সময় সাপের শরীরের চর্বি তার শারীরিক শক্তির জোগান দেয়। 

শীতনিদ্রার আচ্ছন্ন এমন একটি সাপকে ইট সরাতে গিয়ে হঠাৎ পেয়ে যান বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ। তারপর তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও ওজন প্রভৃতির ‘ডাটাবেস’ (তথ্যাবলি) সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবারই (১৭ জানুয়ারি) ওই এলাকায় সাপটিকে ছেড়ে দেন।

বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, আজই বান্দরবানের নাইখনছড়িতে এই বার্মিজ পাইথনকে (অজগর) ইট সরাতে গিয়ে পেয়েছি। এর বয়স ৮/৯ মাস হবে। শীতের সময় অজগর সাপেরা হাইবারনেশনে (শীতনিদ্রায়) যায়। কোনো গর্তে, কোনো গুহায় বা কোনো গাছের কোটরের ভেতরে এর শীতনিদ্রায় যায়। এ রকমই ইট সাজানো একটা স্থানে একে পাই।

তিনি আরও বলেন, শীতনিদ্রার সময় সাপেরা খুব দুর্বল থাকে। তখন সাপের গায়ে তেমন শক্তি থাকে না। ঠিক তেমনি ছিল সাপটি। পরে এই সাপটির বিভিন্ন তথ্যবালি নিয়ে তাকে অন্য একটি নির্জন গর্তে ছেড়ে দিই। সে গর্তের ভেতরে চলে যায়। আমি সাপ পেলে একে ধরে আগে এর উচ্চতা মাপি। তারপর এর ‘ডাটাবেস’ (তথ্যাবলি) তৈরি করে রাখি। যাতে করে এই তথ্যগুলো হয়তো কোনো এক সময় গবেষকদের কাজে লাগতে পারে বলেও জানান আদনান আজাদ আসিফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।