ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

রামসাগরে সঙ্গী পাচ্ছে নওগাঁর সেই নীলগাই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
রামসাগরে সঙ্গী পাচ্ছে নওগাঁর সেই নীলগাই নওগাঁয় উদ্ধার হওয়া নীলগাইটি যখন রাজশাহীতে/ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বন বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সেবা-শুশ্রুষায় সেরে উঠেছে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী নীলগাইটি। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে নেওয়া হচ্ছে দিনাজপুরের রামসাগর উদ্যানে। সেখানে থাকা নারী নীলগাইটির সঙ্গেই রাখা হবে এ পুরুষ নীলগাইটিকে।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আনুষ্ঠানিকভাবে নীলগাইটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। উদ্ধারের পর সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ফরহাদ উদ্দিনের অধীনেই চিকিৎসা চলছিল নীলগাইটির।

 

হস্তান্তর করার সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নীলগাইটিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার আহ্বান জানান এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।  

রাজশাহী চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহীতে আনার পর থেকে তার অধীনেই চিকিৎসা চলছিল মান্দায় উদ্ধার হওয়া বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইটির। সে এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাই রামসাগরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।  

নীলগাইকে খাবার খাওয়াচ্ছেন মেয়র লিটনরাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ডিএফও মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকালে নীলাগাইটিকে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ সেখানে এরই মধ্যে আরও একটি নীলগাই রয়েছে। সেটি নারী। আর এটি হচ্ছে পুরুষ। তাই প্রজননের জন্য তাদের একসঙ্গে রাখা হবে।  

‘এছাড়া দিনাজপুরের রামসাগরে এরই মধ্যে প্রায় সাত লাখ টাকা ব্যয়ে তাদের জন্য বসবাস উপযোগী বেষ্টনী করা হয়েছে। সেখানেই দু'জনকে একসঙ্গে রাখা হবে। এতে বিলুপ্তপ্রায় এ প্রাণীর বংশবিস্তার ঘটবে। আর এটি সম্ভবও। কারণ সৌভাগ্যক্রমে সেখানে থাকা নারী নীলগাইটি প্রাপ্তবয়স্ক। ’ 

নওগাঁর মান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা নীলগাইটিকে এর আগে গত ২২ জানুয়ারি মধ্যরাতে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। পরিচর্যা কেন্দ্রের ভেতরের প্রাকৃতিক পরিবেশেই তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।