শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেকে ১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই এই মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) সূত্র জানায়, বর্তমানে নিবন্ধন করা চা বাগানের সংখ্যা ১৬৪টি এবং চা চাষের জমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৫ হাজার ২১৭ একর। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া চা উৎপাদন মৌসুমে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। আর ২০১৭ সালের চায়ের মোট উৎপাদন ছিল ৭৮ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন কেজি। তবে ২০১৮ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি।
সূত্র আরো জানায়, অনুকূল আবহাওয়া ও প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের ফলে ২০১৮ সালের সদ্য সমাপ্ত চা উৎপাদন মৌসুমে ওই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৭ লাখ কেজি অতিরিক্ত চা উৎপাদন হয়েছে। তবে ২০১৬ সালে উৎপাদিত হয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ চা। বাংলাদেশের চা শিল্পের ১৬২ বছরের ইতিহাসে ওই বছর সর্বোচ্চ চা উৎপাদিত হয়েছিল ৮৫ দশমিক ০৫ মিলিয়ন কেজি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এই বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বৃষ্টির ফলে চা বাগানের ছাঁটাই করা চা গাছের আগায় কুঁড়ি চলে আসবে তাড়াতাড়ি। এভাবে দ্রুত কুঁড়ি চলে আসার ফলে উৎপাদনও বাড়তে শুরু করবে।
দু’ প্রকার চায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ম্যাচিউড টি’ (প্রাপ্তবয়স্ক চা গাছ) এবং ‘ইয়াং-টি’ (ছোট চা চারা) দু’ ধরনের চা গাছের জন্যই এই বৃষ্টিপাত অতি প্রয়োজনীয়। চা মৌসুমের সূচনাটা বৃষ্টিপাত দিয়ে হলে পরবর্তীতে সময়েও চা গাছের মাটি সেই বৃষ্টির পানি ধরে রেখে চায়ের নতুন কুঁড়িগুলোতে সফল উৎপাদনের সম্ভাবনা ছড়াবে।
চা বাগানগুলোতে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, অনুকূল আবহাওয়া, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না, খরার কবলে না পড়াসহ সর্বোপরি চা বোর্ডের নজরদারির কারণে চলতি বছরও দেশে আশানুরূপ উৎপাদন সম্ভব বলে জানান ড. একেএম রফিকুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
বিবিবি/এএ