ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

পাখির জন্য কেএমপি কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
পাখির জন্য কেএমপি কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ পাখিদের জন্য গাছে গাছে লাগানো হচ্ছে মাটির হাঁড়ি

খুলনা: পাখির জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানোর ব্যবস্থা করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির। গত ১১ এপ্রিল তিনি কেএমপিতে যোগদান করেন। এরপর প্রথমেই তিনি তার সরকারি বাসভবনের গাছে গাছে পাখির জন্য মাটির হাঁড়ি বসান।

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এরপর পুলিশ লাইন্স কেএমপির গাছে গাছে পাখির জন্য মাটির হাঁড়ির বাসা স্থাপন করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পুলিশ লাইন্স কেএমপির গাছে পাখির কৃত্রিম এ বাসা লাগানোর কাজ তত্ত্বাবধান করার সময় কথা হয় কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি) এ এম কামরুল ইসলামের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ লাইন্স কেএমপির গাছে গাছে পাখির বাসা তৈরি হচ্ছে। প্রথমে কমিশনার তার সরকারি বাস ভবনের গাছে গাছে পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পাখির জন্য মাটির হাঁড়ি বসান। পর্যায়ক্রমে এখন বসানো হচ্ছে পুলিশ লাইন্স কেএমপির গাছে।

তিনি আরও বলেন, পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরির উদ্দেশ্যে গাছে গাছে বেঁধে দেওয়া হয়েছে মাটির হাঁড়ি। পাখিরা এতে বাসা বাঁধবে। ঝড়, বৃষ্টি ও রোদ থেকে পাখিরা রক্ষা পাবে। হাঁড়িতে বাসা বেঁধে পাখিরা বংশ বিস্তার করতে পারবে।

এসব কৃত্রিম বাসায় পাখিরা নিরাপদে বসবাস এবং বংশবিস্তার করতে পারবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পাখির জন্য নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপনের জন্য বিভিন্ন গাছে হাঁড়ি স্থাপনের এ উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন।

অনেকে মনে করছেন, কমিশনারের এ উদ্যোগ দেখে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসভবনে পাখির জন্য বাসা তৈরি করার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবেন অনেকে।

পাখিদের জন্য গাছে গাছে লাগানো হচ্ছে মাটির হাঁড়িপ্রায় পাঁচ শতাধিক মাটির হাঁড়ি বিভিন্ন গাছে লাগানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পাখিরা পেয়েছে আবাসস্থল অন্যদিকে গাছের ছায়া আর পাখির কলকাকলিতে মুখর প্রকৃতি মানুষের মন ভরাচ্ছে।

কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান পাখি। পাখি একদিকে মানুষের সৌন্দর্য পিপাসা মেটায়, অন্যদিকে কলকাকলিতে আনন্দমুখর করে রাখে প্রকৃতিকে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখির ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি আরও বলেন, সব প্রাণীর শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানের পরিবেশ তৈরি ও আইনগতভাবে আমি পরিবেশকে সংরক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত। সেই হিসেবে মানুষের পাশাপাশি পাখির নিরাপদ আবাসনের জন্য গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন যেসব এলাকার গাছে পাখির জন্য মাটির হাঁড়ি বসানো হয়েছে সেসব এলাকাকে পাখির সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কমিশনার বলেন, পাখির জন্য নিরাপদ আবাস স্থাপনের এ উদ্যোগ দেখে আশা করি অন্যরাও এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।