রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, কুড়িগ্রামে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী বনরুইটি উদ্ধারের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শনিবার সেখান থেকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।
বনরুইটির স্থায়ী আবাস কোথায় হচ্ছে? এমন প্রশ্নে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে কখনো কখনো এদের দেখা পাওয়া যায়। তাই বনরুইটিকে সিলেটের শ্রীমঙ্গলেই পাঠানো হবে। তবে এখনই নয়, ঈদের পর। সব কিছু চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরই বনরুইটি শ্রীমঙ্গল পাঠানো হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, উদ্ধার বনরুইটি পুরুষ। এরা বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী। পিঁপড়া, উঁইপোকাসহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেয়ে এরা বেঁচে থাকে। রাজশাহীতে নেওয়ার পর প্রাণীটিকে এই জাতীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
তাছাড়া বিকল্প খাদ্য হিসেবে সিদ্ধ করা ডিম ও গুঁড়া দুধ দেওয়া হচ্ছে বনরুইটিকে। প্রাণীটি নিয়মিত খাবার খাচ্ছে এবং ঘোরাফেরাও করছে।
এক সপ্তাহ তারা প্রাণীটিকে পর্যবেক্ষণ করবেন। শরীরে আঁশযুক্ত স্তন্যপায়ী এই প্রাণীকে প্রকৃতিক পরিবেশ ছাড়া বাঁচানো দায়। তাই প্রাণীটিকে চিড়িয়াখানায় দেওয়া হয়নি। বর্তমানে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রেই রয়েছে।
সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে তাকে সাচ্ছন্দ্যেই থাকতে দেখা যাচ্ছে। বনরুই থেকে মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয় এবং এর চামড়া দিয়ে দামি জিনিস তৈরি হয়। তাই এই প্রাণী পাচারের প্রবণতা বেশি থাকে বলেও উল্লেখ করে রাজশাহী বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা।
গত ২৩ মে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরে পাচারকারীদের হাত থেকে পুলিশ বনরুইটি উদ্ধার করে। পরে ২৫ মে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে রাজশাহী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এসএস/এএ