ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

লাউয়াছড়ায় মহাবিপন্ন বনরুই অবমুক্ত

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
লাউয়াছড়ায় মহাবিপন্ন বনরুই অবমুক্ত লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয় এ বনরুইটিকে। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া বিটে মহাবিপন্ন প্রাণী বনরুই (Pangolin) অবমুক্ত করা হয়েছে। এর ওজন প্রায় পাঁচ কেজি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এটিকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের কাছে হস্তান্তর করে।

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ বিপন্ন এ প্রাণীটিকে লাউয়াছড়ার জানকিছড়া বিটে অবমুক্ত করে।

অবমুক্তির পূর্বে খাঁচাবন্দি বনরুই।  ছবি: বাংলানিউজএসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম আহমেদ, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সঞ্জয় বন্দ ও রফিকুল ইসলাম, বুলবুল মোল্লা, বনবিভাগে কর্মরত সদস্যসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্র জানায়, ৩১ অক্টোবর এই বনরুইটি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে অবৈধভাবে পাচারের সময় আটক করা হয়। পরে ২ নভেম্বর এটিকে ঢাকায় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট’ এর পরিচালক জহির উদ্দিন আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন প্রাণী হলো এই বনরুই। এর সংখ্যা আমাদের দেশে খুব সীমিত। যেগুলো রয়েছে সেগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে বন্যপ্রাণী পাচারকারীরা এই প্রাণীগুলোকে গোপনে ধরে পাচার করার চেষ্টায় রয়েছে। এসব বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা সদা তৎপর।

তিনি আরও বলেন, এবছর চারটি বনরুই আমরা লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করলাম। সবগুলোই পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা। এরা পিঁপড়া ও পিঁপড়া জাতীয় ছোট ছোট কীট খায় বলে তাদের পিঁপড়াভুকও বলা হয়। এগুলো স্তন্যপায়ী জাতীয় প্রাণী। এরা পরিবেশের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষা ও ক্ষতিকর কীট খেয়ে পরিবেশের উপকার করে।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী বনরুই হলো ‘মহাবিপন্ন’ প্রাণী।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
বিবিবি/এফএম/এএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।