সিস অ্যাট রিস্ক অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে চলাচলকারী জাহাজগুলোর গতিবেগ ২০ শতাংশ কমালে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমবে।
সেই সঙ্গে পানির নিচের শব্দদূষণ কমবে ৬৬ শতাংশ। এছাড়া, জাহাজের সঙ্গে তিমির সংঘর্ষ কমবে ৭৮ শতাংশ।
এ সপ্তাহে লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল ম্যারিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) এক আলোচনা সভায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারীরা সাগরে চলা জাহাজের গতিবেগ কমানোর প্রস্তাব বিবেচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বের ৮০ শতাংশ পণ্য পরিবহন করে ছোট-বড় আকারের বিভিন্ন ধরনের জাহাজ। বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির জন্যও যথেষ্ট দায়ী সেগুলো।
জানা যায়, বিশ্বে নিঃসরিত গ্রিনহাউস গ্যাসের তিন শতাংশ আসে এসব জাহাজ থেকে, যা জার্মানির গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় সমান।
গত বছর প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে পণ্যবাহী জাহাজের গতিবেগের বিষয়টি ছিল না। তবে, সেসময় জাহাজশিল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০০৮ সালের তুলনায় ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমাতে সম্মত হয়।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জাহাজ কম গতিতে চললে কম জ্বালানি খরচ হবে। কার্বন ডাই অক্সাইড, গ্রিনহাউস গ্যাস, সালফার ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমবে। এতে বন্দর এলাকায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। সেই সঙ্গে কমবে বায়ু ও শব্দদূষণ।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জাহাজের গতিবেগ ২০ শতাংশ কমালে সালফার ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমবে প্রায় ২৪ শতাংশ।
উত্তর মেরুর বরফ পানিতে জাহাজ নিঃসরিত কালো কার্বন সে জায়গার তাপমাত্রা বাড়ায়। ফলে, উত্তর মেরুর বরফ আরও দ্রুত গলতে শুরু করে।
২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় পণ্যবাহী জাহাজগুলো গতি কমানোর মাধ্যমে খরচ কমিয়েছিল। সেসময় গতি কমানো হয়েছিল গড়ে ১২ শতাংশ। ফলে, প্রতিদিনের জ্বালানি ব্যবহার কমে গিয়েছিল ২৭ শতাংশ। এতে কার্বনসহ ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণও কমে গিয়েছিল অনেকটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এফএম