মঙ্গলবার (১০ মার্চ) করমজল প্রজনন কেন্দ্রে একটি বাটাগুর বাসকা ৩৫টি ডিম দেয়। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফুটানো হবে।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো করমজলে ডিম পারলো বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা।
এর আগে ২০১৭ সালে দুইটি বাটাগুর ৬৩টি ডিম দেয়, যা থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। পড়ে ২০১৮ সালে দুইটি কচ্ছপ ৪৬টি ডিম দেয়, তাতে ২৪টি বাচ্চা ফোটে। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপ ৩২টি ডিম দেয় এবং যার সবগুলো ডিম থেকেই জন্ম নেয় বাচ্চা।
সুন্দরবন করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বাংলানিউজকে বলেন, একটি কচ্ছপ ৩৫টি ডিম দিয়েছে। আমরা সবগুলো ডিমই প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন করে বাচ্চা ফুটানোর চেষ্টা করবো। আশা রাখছি, ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে সবগুলো ডিম থেকেই বাচ্চা বের হবে।
২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন, পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোনো অস্তিত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কিনা তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন-পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকাগুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভালো সারা না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ৪টি কচ্ছপের ডিমে বাচ্চা ফোটার পরে বর্তমানে এখানে ১৮৩টি কচ্ছপ রয়েছে।
** করমজলে ৩২টি ডিম দিয়েছে ‘বাটাগুর বাসকা’
** সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে বিপাকে ‘বাটাগুর বাসকা’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এসআরএস