ঢাকা: জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শহরাঞ্চলে মানবসৃষ্ট বর্জ্যের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং এর প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা কলিং প্রকল্পের আওতায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিওএসসি’র সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজার সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন ঢাকা কলিং প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর সানজিদা জাহান আশরাফী।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবাসের যুগ্ম-সম্পাদক হান্নান আকন্দ, এনডিবাসের সম্পাদক ফাতেমা আক্তার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, দ্যা এনার্জি বাংলা’র উপদেষ্টা এডিটর অরুণ কর্মকার, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।
সংবাদ সম্মেলনে ধারনাপত্র পাঠ করেন ইয়ুথ গ্রুপ লিডার তানজিনা আখতার তানিয়া।
অনুষ্ঠানে হোসনে আরা রাফেজা বেগম বলেন, আমাদের দেশে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য কোনো বিধিমালা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার, সিটি কর্পোরেশন এবং বিশেষ করে কমিউনিটির নেতৃত্বে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আবু নাসের খান বলেন, বস্তিবাসী বা নগরের দরিদ্র মানুষকে পিছনে রেখে বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বস্তির যুব সদস্যদের সংগঠিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ম ও নীতিমালার উপর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে হবে।
আব্দুস সোবহান বলেন, হাসপাতালেরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তদারকি নেই। প্রিজম নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ২০০ হাসপাতাল থেকে ১২ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে। বাকি বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে। এতে করে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বর্জ্য পৃথকীকরণের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে না। কিংবা তা করলেও শেষ পর্যন্ত অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে একই জায়গায় গিয়ে মিশে যাচ্ছে। কিন্তু বাকী হাসপাতালগুলোর বর্জ্য সংগ্রহের কোনো উদ্যোগ এখনোও সেভাবে পরিলক্ষিত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
ডিএন/জেআইএম