পাবনা: পাবনা সুজানগর উপজেলায় দেশি প্রজাতির প্রায় দুই শতাধিক পাখিসহ তিন পাখি শিকারিকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চরদুলাই বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এসময় পাখি শিকারিদের কাছ থেকে প্রায় দেশি প্রায় ১০ প্রজাতির পাখি উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে পাতি চ্যাগা, রাঙ্গা চ্যাগা, জল ময়ুর, পাতি বাটান, উদয়ী বাবু, ধুসর মাথার টিটি, লাল মাথার টিটি, সোনা জিরিয়া, নথ জিড়িয়া ও মাছরাঙা।
আটক পাখি শিকারিরা হলেন গোবিন্দপুর গ্রামের বাছেদ শেখের ছেলে আতোয়ার শেখ (৩৮), ঘোড়াদহ গ্রামের জহির মিঞার ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫) ও চরদুলাই গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মোজাহার আলী মণ্ডল (৪০)।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পাখি শিকারিরা সংঙ্ঘবদ্ধ হয়ে উপজেলার গাজনার বিল থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে অবৈধভাবে দেশি ও অতিথি পাখি শিকার করে গোপনে বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। খবর পেয়ে সোমবার ওই বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন পাখি শিকারিকে আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় দুই শতাধিক পাখি।
তিনি আরো বলেন, পরে আটক ব্যক্তিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সুজানগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুল ইসলাম তাদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এছাড়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিকেলে সুজানগর থানা চত্বর থেকে জনসম্মুখে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন।
এসময় তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সম্প্রতি কিছু অসাধু পাখি শিকারি কারেন্ট জাল দিয়ে, খাদ্যে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকার করছেন। তারা পাখি শিকারের জন্য খাদ্যে যে বিষ মেশান, তা বিলের পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে। এতে জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। শীতে দেশি ও বিদেশি পাখি খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিল অঞ্চলগুলোতে আশ্রয় নেয়। আর এ সুযোগে তাদের শিকার করে কিছু পাখি শিকারি। আমাদের কাছে স্থানীয়রা পাখি শিকারের বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছেন। আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারিতে রেখেছি বিলাঞ্চল। পুলিশের পক্ষ থেকে শিকারিদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভি এস ডা. মুহা. আব্দুল লতিফ, সুজানগর (তদন্ত) অফিসার আব্দুল কদ্দুসসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এসআই