ঢাকা: দুপুর থেকেই সাজ সাজ রব বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাঠ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে দর্শনার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ির, বান্দরবান অঞ্চলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে পার্বত্য মেলা।
চারটা বাজতেই পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে পার্বত্য মেলার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপিসহ অন্যান্যরা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পরই শুরু হয় মেলার বিকিকিনি।
মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিলো- গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা বায়োস্কোপ। ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ ভিড় করেন বায়োস্কোপ দেখতে।
মেলার মাঠে চারদিক সাজানো পাহাড়ি ফল, ফুল। ফিস ফ্রাই, ভুট্টা ভাজা, পাহাড়ি এলাকার জামাকাপড়, বাম্বো চিকেন, রকমারি পিঠা ও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রের স্টল। বেশিরভাগ দর্শনার্থীকে পাহাড়ি ফলের দোকান ও জামাকাপড়ের স্টলে ভিড় করতে দেখা যায়।
শীতের দিনে রসের পিঠা, ধোঁয়া উড়ানো ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, চুই পিঠা, পাটিসাপটা, পোয়া পিঠা, দুধ চিতই পিঠার দোকানগুলোতেও ধুম লাগে পিঠা খাওয়ার।
সন্ধ্যা হতেই মেলায় আগত শতশত দর্শনার্থীর পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। আলোকিত করা হয় নানান রকমের মরিচ বাতিসহ কারুকাজ করা বাতি। দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিতে শুরু হয় খাগড়াছড়ির ও বান্দরবান জেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় ফোক, পাহাড়ি গানসহ ওইসব অঞ্চলের নৃত্য।
রাঙ্গামাটি থেকে আগত তিন ধরনের বিন্নি চাউল, পাহাড়ি কচুর মুখি, পাহাড়ি মিষ্টি আলু, কলা দিয়ে সাজানো অরণ্যের জুম ঘর স্টলের মালিক অমিত চাকমা বলেন, এই পার্বত্য মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকি সারাটা বছর। বিকিকিনি বড় কথা না। এখানে আসলে পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকার সবার সঙ্গে পরিচয় হওয়া যায়। ভালো সম্পর্ক হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) শুরু হওয়া এই পার্বত্য মেলা শেষ হবে রোববার (১৫ জানুয়ারি)। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসসিএন/এনএস