ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

জয়নুলের চিত্রকর্মে সংগ্রামী নারী-পুরুষ চিত্রভাষা পেয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
জয়নুলের চিত্রকর্মে সংগ্রামী নারী-পুরুষ চিত্রভাষা পেয়েছে

ঢাকা: বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেছেন, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর কবিতা ও নাটকে নারীর শক্তিমত্তা এবং মমতাময় রূপকে অনন্য ব্যঞ্জনায় অভিষিক্ত করেছেন। অপরদিকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মে বাংলার সংগ্রামী নারী-পুরুষ চিত্রভাষা লাভ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি আয়োজিত একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবি-নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। উত্তর-ঔপনিবেশিক চোখে মধুসূদনের কবিমন শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান। জয়নুলের রেখার শক্তি ও স্থানিক আধুনিকতার সূত্রপাঠ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী ও শিল্প-সমালোচক মোস্তফা জামান।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বাংলাসাহিত্য এবং বাঙালির সংস্কৃতির উৎসমুখ। মধুসূদন তার কবিতা ও নাটকে যেমন বঙ্গীয় পুরাণের পুনর্জন্ম সংঘটিত করেছেন, জয়নুল আবেদিন তেমনি তার তুলির লড়াইয়ে বাংলা চিত্রকলায় নতুন যুগের সঞ্চার করেছেন।

‘উত্তর-ঔপনিবেশিক চোখে মধুসূদনের কবিমন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, মধুসূদনের মহাকাব্য-খণ্ডকাব্য এবং নাটকে আবহমান বাংলার ইতিহাস-পুরাণ-লোকাচার বৈশ্বিক রূপরীতিতে ফুটে উঠেছে। উত্তর-ঔপনিবেশিক চোখে মধুসূদনের কবিমনের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা অনুধাবন করব উপনিবেশিত কালপর্বে তিনি কী অমিত শক্তিতে স্বাধীনতার অভীপ্সাকে ধারণ করেছেন।

‘জয়নুলের রেখার শক্তি ও স্থানিক আধুনিকতার সূত্রপাঠ’ শীর্ষক প্রবন্ধে মোস্তফা জামান বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন রেখা ও রঙে গণজীবনের কথা বলেছেন। তার চিত্রকর্মে নিবিড় অবলোকন করলে আমরা দেখতে পাই সেখানে পরিস্ফুট দেশজ আধুনিকতার সূত্রসার। তার রেখার শক্তি মূলত লোকমানুষেরই শক্তি, তার স্থানিক আধুনিকতার সাধনা মূলত বৈশ্বিক আধুনিকতা।

রাজীব কুমার সরকার বলেন, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সাধনা বাঙালিত্বের সাধনা, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা।

এ এইচ এম লোকমান বলেন, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন উভয়ই বাংলা কবিতা-নাটক এবং চিত্রশিল্পের জগৎকে সুপ্রসারিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।