ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

রং-তুলির আঁচড়ে চলছে একুশের প্রস্তুতি

ডিএইচ বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
রং-তুলির আঁচড়ে চলছে একুশের প্রস্তুতি দেয়ালে রং করছেন শিল্পীরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় পুলিশসহ সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা এসে শহীদ মিনার পরিদর্শন করে যাচ্ছেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কুকুর দিয়ে পুরো এলাকা তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিদেশি কূটনৈতিক দূতাবাসের কর্মকর্তা, মন্ত্রী, সচিব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।



উপলক্ষে গত বেশ কয়েকদিন ধরে শহীদ মিনার ধোয়া-মোছাসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
 



সরেজমিনে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ এর আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অসংখ্য সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।
 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ছাদে ঘোষণা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোলরুম, ফায়ার সার্ভিস ও প্রাথমিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
 



অন্যদিকে শহীদ মিনারের আশপাশের সব দেয়ালে ছবি ও বাণীতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ভাষা আর দেশের কথা। কেউ ভাষাশহীদের ছবি আঁকছেন আবার কেউ বাংলা বর্ণমালা লিখছেন দেয়ালে।
 


এক কথায় বলা যায়, আল্পনা ও বর্ণমালায় সেজে উঠছে শহীদ মিনার এলাকা। সেই কাজগুলো আনন্দ আর মনের মাধুরি মিশিয়ে রং-তুলি হাতে লিখনে ব্যস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
 



কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে দক্ষিণ পশ্চিম থেকে পূর্ব প্রান্তজুড়ে লম্বাটে দেয়ালের টুকরো টুকরো অংশে কোথাও ‘মোদের গৌরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা, কোনো অংশে ‘মাতৃভাষায় যাহার শ্রদ্ধা নাই সে মানুষ নহে’, আবার কোথাও ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ির তীরে’ ইত্যাদি লেখনির ছোঁয়ায় মাতৃভাষা বাংলার ইতিহাস ও ঐহিত্যকে ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।


শখের বসে কেউ ছবি তুলে সাক্ষী হতে চাইছেন। কেউবা সেলফিও তুলছেন।  
 



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একুশে উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, একুশ উদযাপন আমাদের রাষ্ট্রীয় আচার ও ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। শহীদ মিনারের সৌন্দর্য বাড়াতে সব ধরনের কাজ চলছে।
 



আজকের মধ্যে শতভাগ প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা করছি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল টিম টহল দেবে। তাছাড়া ঢাবির বিএনসিসি ও স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।