ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

শখের বশে বিড়াল পুষে লাখপতি কলেজছাত্রী খাদিজা

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
শখের বশে বিড়াল পুষে লাখপতি কলেজছাত্রী খাদিজা বিড়াল কোলে নিয়ে বসে আছেন খাদিজা আলম তুলি

খুলনা: আরামপ্রিয় গৃহপালিত প্রাণী হলো বিড়াল। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়ালের কদর সবচেয়ে বেশি।

 প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ শখের বশে বিড়াল পালন করে আসছেন। অনেকে বিড়াল পালন করেন ইঁদুর দমন করার জন্য। বিড়াল সহজেই পোষ মেনে যায় যে কারো কাছে।  

বর্তমান সময়ে এসে বিড়ালের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে অনেক। কেউ কেউ বিড়াল পোষা আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এমনই একজন হলেন খুলনার গগন বাবু রোডের খাদিজা আলম তুলি।

সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তিনি। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় খাদিজা আলম তুলির। তুলে ধরেন বিড়াল পোষার শুরুর গল্পটা।

কবে থেকে বিড়াল পোষা শুরু করলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে বিড়াল পোষা শুরু করি। প্রথমে আমি ঢাকা থেকে দুই মাস বয়সের দুটি সাদা বিদেশি বাচ্চা বিড়াল কিনে আনি। এতে আমার খরচ পড়ে ৪৫ হাজার টাকা। ওদের নাম লুনা লিও। ওদের বয়স এখন তিন বছর।

ওরা পিওর পার্সিয়ান সাদা বড় পশম ওয়ালা বিড়াল। পরে একটি কালার ফুল বিড়াল কিনে আনি। ওর নাম এলভিন, ধূসর রঙের ছোট পশম ওয়ালা ট্যাবি ক্যাট। এখন সব মিলিয়ে প্রায় ১৫টি বিড়াল। এর মধ্যে নয়টি প্রাপ্ত বয়স্ক। ছয়টি সদ্য বাচ্চা রয়েছে। বিড়াল বন্ধুসুলভ প্রাণী হওয়ায় আমার পরিবারের সবাই বিড়ালের যত্ন করে।

বিড়াল পুষে মাসে কত আয় করা সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিড়াল বছরে চার বার বাচ্চা দেয়। একবারে যদি তিনটি করে বাচ্চা দেয় তাহলে দ্রুতই বিড়ালের সংখ্যা বেড়ে যায়। মাসে দুইটা বিড়াল ছানা বিক্রি করতে পারলে ৪০ হাজার টাকা। বেশি বিক্রি করতে পারলে আয়ও বেশি হয়।

বিড়াল কি কি খায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিদ্ধ মাছ, মুরগির মাংসের সঙ্গে সিদ্ধ সবজি, কাঁচা কলা, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, আলু এসবই খায় বিড়ালগুলো। মাছ এর মধ্যে টুনা, তেলাপিয়া আর চাপিলা মাছ। বিড়ালের জন্য বোতলজাত খাবার পাওয়া যায় ক্যান ফুড ক্যাট ফুড।  

আপনার কাছে কয়টি প্রজাতির বিড়াল রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তুলি বলেন, আমার কাছে পিওর সাদা পার্সিয়ান, ক্যালিকো ও ট্যাবি জাতের ১৫টি বিড়াল রয়েছে। এর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। বিড়ালগুলোর থাকার জন্য আলাদা রুম রয়েছে। তারপরও তারা ঘরদোর মাতিয়ে রাখে। বিড়ালের রোগব্যাধি কম হয়। শীতকালে ঠাণ্ডার একটু ঝুঁকি থাকে। তাও তাদের পোষাক পরানো হয় গরম রাখার জন্য।  

কোথায় বিড়াল বিক্রি করেন? এমন প্রশ্নে ওই তরুণী বলেন, ফেসবুকে অনেকগুলো গ্রুপ আছে যেখানে এসব বিড়াল কেনা-বেচা করা হয়। Sweet LUNA নামের আমার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে।

যেখান থেকে পছন্দ করে ক্রেতা বিড়ালছানা কিনতে পারেন। বেকার তরুণ-তরুণীরা বাণিজ্যিকভাবে বিড়াল পুষে সাবলম্বী হতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।