ঢাকা: ‘প্রায় ঘণ্টাখানিক হলো মেট্রোরেলের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছি। মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়।
এই কথাগুলো বলছিলেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচির কারণে দুর্ভোগে পরা রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা নার্গিস মৌসুমি।
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে দেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মেট্রোরেলই একমাত্র ভরসা সাধারণ জনগণের জন্য।
রাজধানীর চানখারপুল, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, সায়েন্সল্যাবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই মেট্রোরেলের সেবা বেছে নিয়েছেন।
রাজধানীর সচিবালয়, মতিঝিল এলাকার মেট্রোরেলের স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে মেট্রোরেল স্টেশনে যাচ্ছেন। টিকিট কাউন্টার থেকে স্টেশনের সিঁড়ি পর্যন্ত যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ফলে কাউন্টারে চাপ বেড়েছে টিকিটপ্রত্যাশীদের।
আন্দোলনের কারণে গাড়ি জ্যামে আটকে থাকায় যাত্রাবাড়ী থেকে হেঁটে এসেছেন জাহিদুল ইসলাম নামের এক তরুণ।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর মধ্যে বাসে করে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই মেট্রোরেলে মিরপুর যাওয়ার জন্য টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন মেট্রোরেলে অনেক চাপ। তারপরও যেতে পারব এটা ভরসা করতে পাচ্ছি।
সিদ্দিকুর রহমান নামের এক বৃদ্ধ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমার সমর্থন আছে। যদিও আন্দোলনে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
সচিবালয়ের স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কারণে বাইরে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আমাদের একটু চাপ হলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর যাত্রীরা ও আমাদের সহযোগিতা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
এএটি