আক্তার হামিদ খান জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফটোগ্রাফার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেয়েছেন অনেক কাজের স্বীকৃতি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এই দিকের (সাউথ এশিয়া) মানুষ জন্য কিন্তু একটু ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড। তারা সব সময় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়। পরিবারের আনন্দে আনন্দিত হয়, পরিবারের কষ্টে কষ্ট পায়। এই বিষয়টা সাউথ এশিয়ার পেইন্টিং এবং ফটোগ্রাফিতেও খুব প্রমিনেন্ট দেখা যায়। আমাদের সব কিছুই একটু আবেগ নির্ভর। আমার সব ছবিতে দেখবেন প্রকৃতি এবং মানুষের এবং সংমিশ্রন আছে। আমার যে ছবিটি সম্পতি পুরস্কার পেল সেখানেও আপনি দেখবে প্রকৃতি আছে।
তিনি আরও বলেন, একটার জায়গায় একশটা ছবি তুললেও এখন চিন্তার কিছু থাকে না। সবশেষ কাজ হচ্ছে, এডিটিং। অনেকেই এডিটিং এর কথা বলতে লজ্জা পায়। কিন্তু এটা মানতে হবে যে ভালো ছবির জন্য ভালো পোস্টপ্রডাকশন ওয়ার্ক-ও জরুরি।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমার বেশ কয়েক জন বন্ধু আছে যুক্তরাষ্ট্রে যারা ভালো ফটোগ্রাফি করে। আমার একটা অ্যাক্সিবিশনও হয়েছিল নিউ ইয়র্কে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফটোগ্রাফার হিসেবে আমেরিকানরা অনেক প্র্যাকটিক্যাল, অনেক বাস্তব বাদি।
তিনি দেশে ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট করতে চান। জেলায় জেলায় তার শাখা থাকবে। তরুণ সদস্যদের ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পর্যন্ত পৌছে দিতে সহযোগিতা করবে এই ইন্সটিটিউট। আমার স্বপ্ন সবাই মনোযোগ দিয়ে ফটোগ্রাফি করবে, হুটহাট করে না।
আক্তার হামিদ খান দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে। পল্লীমা সংসদ আয়োজিত তরুণ ফেটোগ্রাফার প্রতিযোগিতায় (২১ ফেব্রুয়ারি-২৩ ফেব্রুয়ারি) তারিখ পর্যন্ত আক্তার হামিদ খান ছিলেন অন্যতম বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৪
এনএটি