ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম, ভ্রমণ পিপাসুদের নতুন গন্তব্য

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৪
সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম, ভ্রমণ পিপাসুদের নতুন গন্তব্য সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম

বরগুনা: শরৎকাল মানেই প্রকৃতির এক অনন্য রূপ বদল। চারদিকে সাদা কাশফুলের শোভা, আর তার সঙ্গে হালকা শীতল বাতাস যেন মনকে অন্যরকম এক শান্তি দেয়।

এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে বরগুনার ‘সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজমে’ ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় বেড়েই চলেছে। কাশফুলের শুভ্রতা আর প্রকৃতির মায়াবী পরিবেশ এখানে ভ্রমণকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

 সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম: বরগুনার গর্ব

বরগুনার একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজমের খ্যাতি দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শরৎকালে যখন নদীর তীর আর মাঠগুলো কাশফুলে ছেয়ে যায়, তখন এই পর্যটন কেন্দ্রটি এক অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নয়, একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশে প্রকৃতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকার সুযোগ করে দেয়।

কাশফুলের শুভ্রতা

সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজমে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে অসীম মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কাশফুলের সাদা রঙের আভা। হালকা বাতাসে কাশফুলের নড়াচড়া যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক সঙ্গীতের মূর্ছনা তৈরি করে। ভ্রমণকারীরা এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের মাঝে বসে প্রকৃতির শীতলতা উপভোগ করেন এবং সেলফি কিংবা ফটোশ্যুটে মেতে ওঠেন।

শীতল হাওয়ার মুগ্ধতা

এখানে আসার পরে শরৎকালের শীতল হাওয়া ভ্রমণকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করে। প্রকৃতির এই স্বাভাবিক পরিবেশে শীতল বাতাস আর কাশফুলের সমারোহ ভ্রমণ পিপাসুদের মন ভালো করে দেয়। পরিবার-পরিজন বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে এসে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন ভ্রমণকারীরা। এখানে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকে ছুটে আসেন।

ইকো ট্যুরিজমের সম্ভাবনা

সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রটি প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এখানে কেবল কাশফুল নয়, নদীর তীর, সবুজ গাছপালা এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। ইকো-ট্যুরিজমের ধারণা অনুসারে এখানে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। এই কেন্দ্রটি বরগুনাকে একটি নতুন পর্যটন হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হয়েছে।

ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা

এখানে ঘুরতে আসা অনেক ভ্রমণ পিপাসুদের অভিজ্ঞতা খুবই ইতিবাচক। তারা বলেন, ‘শরৎকালে কাশফুলের এমন সুন্দর দৃশ্য আর কোথাও পাওয়া দুষ্কর। সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজমে এসে আমরা প্রকৃতির এত কাছাকাছি আসতে পেরেছি যে মনে হচ্ছে, সব ব্যস্ততা আর কোলাহল থেকে মুক্তি পেয়েছি। ’

সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম শুধু বরগুনার জন্য নয়, পুরো দক্ষিণাঞ্চলের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠছে। শরতের শীতল হাওয়া এবং কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ভ্রমণকারীরা ছুটে আসেন। যারা প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চান এবং শরতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ গন্তব্য।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।