ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

রাসমেলা উপলক্ষে উৎসবের আমেজে উপকূলবাসী

রণজিৎ বর্মন, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১০
রাসমেলা উপলক্ষে উৎসবের আমেজে উপকূলবাসী

বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমায় পুণ্যস্নান ও পূজা উপলক্ষে ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী রাসমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সাগর মোহনায় গভীর সুন্দরবনে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলাকে ঘিরে উপকূলবাসীর মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে।

রাসমেলায় পূর্ণিমা তিথিতে কমল কামিনী, বনবিবি, রাধাকৃষ্ণের পূজা ও রাতব্যাপী মহানাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ভোরে সাগরে পুন্যস্নানের জন্য লাখ লাখ নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করবেন এবং মনোবাসনা পূরণের জন্য প্রসাদ নিয়ে সাগরের মোহনার চরে বসে প্রার্থনা করবেন। পুণ্যার্থীরা কমল কামিনী দর্শনের আশায় মোহনায় সাগর ঢেউয়ে স্নান করেন। মেলায় নাম সংকীর্তন ছাড়া আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

রাসপূর্ণিমায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতের সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আটটি পথ নির্ধারণ করেছে। বন বিভাগ সাতীরা রেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, এসব পথে বন বিভাগ, নৌ পুলিশ, বিডিআর, কোস্ট গার্ড বাহিনী তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। আটটি পথ হলো বুড়িগোয়ালিনী-কোবাদক থেকে বাটুলা নদী- বল নদী- পাটকোস্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর। কদমতলী থেকে ইছামতি নদী, দোবেকী, আড়পাংগাশিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাংগাশিয়া কাড়াদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবশা-শিবশা নদী মরজাদ হয়ে দুবলার চর। নলীয়ান স্টেশন হয়ে শিবশা-মরজাদ নদী হয়ে দুবলার চর। বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। শরণখোলা স্টেশন সুপতি স্টেশন কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীরা ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর তিন দিনের জন্য অনুমতি পাবেন এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। যে কোনও যাত্রী নির্ধারিত একটিমাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন। যাত্রীদের পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, মাইক বাজানো, পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে বিরত থাকতে হবে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে। এ মেলা উপলে দুবলার চরে জনসুমদ্রে পরিণত হবে। তবে এ সুযোগে চোরা হরিণশিকারিরা যাতে তৎপর না হয় সে ব্যাপারে পরিবেশবিদরা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় ১৩টি টিম টহল দেবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮৪৫, নভেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।