রূপকথার মদনকুমার স্বপ্নে দেখলেন মধুমালাকে। সে যেন স্বপ্ন নয়, সত্যি।
ঐতিহাসিক দিক থেকেও সাত সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সেই বিখ্যাত জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছিলেন ৭ মার্চ, ১৯৭১। ৭ নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্থান। এছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ আর তাদেরসহ সব বীর শহীদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে ৭টি স্তম্ভের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। দণি এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ ৭টি। আবার পৃথিবীর শিল্পোন্নোত দেশগুলো মিলে গঠন করেছে সাত জাতি গ্রুপ (তবে বর্তমানে আট)। এই যে সাতের জয়জয়কার, একে কি শুধু কাকতাল বলা যায়, নাকি আরও কিছু!
কথায় কথায় আমরা সাতের ব্যবহার করি। যেমন, কাউকে খুব সকালে কোথাও যেতে দেখলে আমরা বলি ‘কি হে এই সাত সকালে কোথায় যাও। ’ অথবা সন্তানকে আদর করে আমরা বলি ‘তুই আমার সাতরাজার ধন, মানিক রতন। ’ সাত ভাইয়ের একটি বোন নিয়েও একটি রূপকথা আছে, যার নাম ‘সাত ভাই চম্পা’। তাছাড়া বাড়িতে অনেক রান্নার আয়োজন করা হলে বলা হয়, সপ্তপদের রান্না। ‘সপ্তপদী’ নামে একটি উপন্যাস আছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে একই নামের বিখ্যাত চলচ্চিত্র। কারো বা কোনো জিনিসের বিস্তারিত বিবরণ বা কাহিনীকে এক কথায় আমরা ‘সাতকাহন’ বলে থাকি। এছাড়া আমরা সবাই জানি সাত একটি মৌলিক সংখ্যা।
এই যে সাতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, তারপরও সাত কিন্তু আমাদের অপছন্দের তেরোর সঙ্গে জোট বেঁধেছে। অবশ্য সেটা আমরাই বাঁধিয়েছি। আর সেটা হলো আমরা অনেক দূর বোঝাতে হরহামেশাই বলি ‘সাত সাগর তেরো নদীর পারে’।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১১১৫, জুলাই ০৭ ২০১০