ঢাকা: বাংলার শতবর্ষের ঐতিহ্য সোনালি আঁশ পাট। পুরো দেশজুড়ে পাটের চাষ হলেও ফরিদপুরের পাট গুণে-মানে সব সময় অনন্য।
বর্তমান প্রজন্মকে পাট গাছ চিনতে হয় বইয়ের পাতা থেকে। সম্প্রতি পাটচাষ প্রধান জেলা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ছোট মালিগ্রামে গিয়ে দেখা মেলে সোনালি আঁশের মেলা।
চলুন, এক ঝলক দেখে নেওয়া যাক কীভাবে আমরা পাই সোনালি আঁশ।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ছোট মালিগ্রামে পাট চাষিরা কাটার পর পানিতে ভিজিয়ে রেখেছেন পাট।
পানি থেকে পাট তুলে আনার পর তা থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত পাটচাষি মান্নান বেপারি। রাস্তার পাশেই তার সঙ্গে সহযোগিতায় রয়েছেন নারী দিনমজুরেরা।
পাটকাঠি থেকে ছাড়ানো আঁশ পানিতে নিয়ে পরিষ্কার করছেন সোবাহান বিশ্বাসসহ আরো অনেকেই।
আঁশগুলো সম্পূর্ণ আলাদা করে সারি সারি রাস্তার পাশেই বাঁশের ওপর শুকাতে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পাটকাঠিগুলোকে দাঁড় করে রাখা হয়েছে রোদে।
শুকনো পাটের অাঁশগুলো বান্ডিল আঁকারে বাঁধা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য। বান্ডিল করা পাঠগুলোকে এনে জমা করা হচ্ছে মেসার্স মল্লিক ট্রেডার্সের সামনে।
সোনালি আঁশের বান্ডিলগুলো বিক্রির জন্য একে একে তোলা হচ্ছে একটি ট্রাকে।
ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে অনেক পাট। প্রক্রিয়াজাকরণে ব্যয় দ্বিগুণ হবে বলে কাটা হচ্ছে না এই পাটগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৪