ঢাকা: ‘আসেন ভাই আসেন, একটা খাইয়া যান। একবার খাইলে আরেকবার খাইতে মন চাইব।
সাইদুল মিয়া জানালেন, তিনি একজন সিজনাল হকার। যখন যে ফলের মৌসুম, সেই ফল ফেরি করে বিক্রি করেন। এখন আমড়ার সিজন চলছে তাই তিনি আমড়া বিক্রি করছেন। সিজনাল ফলের ব্যবসায় নাকি লাভ বেশি।
গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেল, সাইদুল মিয়ার মত আরো জনাদশেক হকার আমড়া বিক্রি করছেন। এদেরই একজন ফেনীর ছাগলনাইয়ার রফিকুল ইসলাম। তিনি আমড়া কেটে কাঠি লাগিয়ে বিক্রি করছেন। আবার ছোট পলিব্যাগের ভেতরে আমড়া ভরে করে রেখেছেন কিছু প্যাকেটও।
বাংলানিউজকে রফিকুল জানালেন, যারা কম সময়ে আমড়া খেতে চান তাদের জন্য এই প্যাকেট।
তার কাছেই জানা গেল, এখন ঢাকা শহরে যে আমড়া বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগই বরিশালের। খেতে খুবই সুস্বাদু বলে ঢাকাবাসীর কাছে বরিশালের আমড়া অনেক জনপ্রিয়।
তবে তিনি এও বললেন, অনেকেই বরিশালের আমড়ার কথা বলে অন্য এলাকার আমড়াও বিক্রি করেন।
পাশেই দাড়িয়ে মনের সুখে আমড়া চিবুচ্ছিলেন উদ্যানে বেড়াতে আসা সিদ্ধেশ্বরী মহিলা কলেজের ছাত্রী জেরিন ও তার বান্ধবী ইভা। আমড়া খাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তাদের ভাষ্য, এক কথায় অসাধারণ!
অদূরেই দেখা গেল এক বাদাম বিক্রেতা আমড়া খাচ্ছেন। ত্রিশোর্ধ্ব এই বাদাম বিক্রেতা জানালেন, আমড়া তা প্রিয় ফল। প্রতি সিজনে তিনি দিনে কম করে হলেও চারটি আমড়া খেয়ে থাকেন।
ফেরার সময় ছোটবেলায় শোনা অলিখিত সেই ছড়াটি বারবার মনে পড়ছিল, ‘বরিশাইল্লা আমড়া, খাইয়া খালি কামড়া’। জয়তু বরিশালের আমড়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪