ঢাকা: বিখ্যাত মার্কিন কবি এমিলি ডিকিনসনের মতো করেই বলতে হয়, ‘কোথাও আছে অন্য কোনো আকাশ, সেখানে অন্য কোনো আলো’।
বিপুলা এ বিশ্বের পথে-প্রান্তরে ছড়িয়ে আছে কত বিচিত্র কাণ্ড।
মনে হয়, কোনো পাগলাটে শিল্পীর খামখেয়ালি শিল্পকর্ম। দেখা যাবে, ছোঁয়া যাবে কিন্তু বোঝা যাবে না!
বিস্ময়ে হতবাক করে দেওয়া প্রকৃতির পাগলামি নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে সাতটি ছবি।
গ্রিন ফ্ল্যাশ
নিচে সমুদ্র, উপরে আকাশ। কদাচিৎ প্রকৃতির এই আলোর পাগলামি দেখা যায়। দিগন্তে সমুদ্রের অবস্থানের ফলে সৃষ্টি হয় এরকম বিস্ময়কর দৃশ্যের। এক্ষেত্রে পানির শৈবাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দ্য গ্রেট ব্লু হোল (বেলিজ, যুক্তরাষ্ট্র)
সমুদ্রতলে ভূমিক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয় এরকম গর্তের। এ জাতীয় সী হোল ডাইভারদের খুব প্রিয়।
দ্য এভারলাস্টিং স্টর্ম (ভেনিজুয়েলা)
বাংলা করলে দাঁড়ায় চিরস্থায়ী ঝড়। হ্যাঁ, ঠিক তাই। বছরে প্রায় ১৬০ রাত এখানে ঝড় হয়ে থাকে। কাতাতুম্বা নদীর মুখে দেখা যায় প্রকৃতির এই অদ্ভুত খেয়াল।
আন্ডারওয়াটার ওয়াটারফল (মরিশাস)
এটি সত্যিকারের কোনো ওয়াটার ফল নয়, জলের নিচে বালি সরে গিয়ে এমন বিচিত্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ব্লিডিং গ্লেসিয়ার (এন্টার্কটিকা)
দূর থেকে দেখলে মনে হবে, এন্টার্কটিকার বরফের ভেতর থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। কিন্তু আসলে আয়রন অক্সাইড পানির সাথে মিশে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভলকানিক লাইটিং
আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হওয়া ইলেক্ট্রন আয়ন বা বিদ্যুৎ। এটাকে বিদ্যুতের ঝড় বলা যেতে পারে।
স্টিম টাওয়ার (আইসল্যান্ড)
কুয়াশা জমে জমে এমন অবস্থা যে দূর থেকে মনে হবে কুষাশার পিলার।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪