ঢাকা: তিলোত্তমা নগরী ঢাকা বসবাসের উপযোগিতা হারিয়েছে আগেই। তবে রয়েছে বিরুদ্ধমতও।
বিশেষ উৎসব কিংবা বিশেষ কারো আগমন উপলক্ষ্যে নগরীর স্থায়ী সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধানে নেই গ্রহণযোগ্য সুদূরপ্রসারী কোনো পরিকল্পনা।
সাময়িক সমাধানেরও যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেখানেও চলে লুটপাটের মহড়া। ফলে সাময়িক সমাধান এতটাই ক্ষণস্থায়ী হয় যে, সংস্কার শেষ হতে না হতেই সব ভেঙে পড়তে শুরু করে।
প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কিছুদিন তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। ক’দিন পর? আবার সেই। এভাবেই যেন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে ঢাকায় বসবাসকারী মানুষেরা।
কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন সর্বোপরি সরকারও নির্লিপ্ত থাকছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। যেন, কারুরই করার নেই কিছু।
ঢাকাকে সচল রাখতে বিকল্প হিসেবে উড়ন্ত রাস্তা করা হয়েছে। কাজ চলছে কয়েকটির। হয়তো একদিন পাতাল রেলও হবে। কিন্তু মহানগরী ঢাকার রাস্তাগুলো যে এখন পরিত্যক্ত হওয়ার মতোই অবস্থা তা পথে নামলে চোখ এড়াবে না কারও।
খানা-খন্দে ভরা গুরুত্বপূর্ণ প্রায় প্রতিটি রাস্তা। যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুকূপ। একটু অসাবধান হলে কিংবা কোনো রকম পা ফসকালেই ঘটতে পারে নিশ্চিত মৃত্যু কিংবা জীবন পঙ্গু করে দেওয়ার মতো দুর্ঘটনা।
প্রতিটি পদক্ষেপেই যেন বিপদের আভাস। পা ফেলার আগে চিন্তার সময় থাকে পা কোথায় ফেলছি। হয় মচকাবে, না হয় পড়বে চাকার নিচে!
দু’পাশে তিলোত্তমা ভবন চোখে পড়লেও মাঝের রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই শহুরে কোনো রাস্তা।
প্রতি মুহূর্তে এভাবেই রিকশায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় ঢাকাবাসীকে। রিকশার চাকা একটু কাত হলেই পড়তে হবে কাদাপানিতে।
বাংলানিউজজের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট শোয়েব মিথুনের তোলা রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক মোড়ের এসব আলোকচিত্র যেন সমূহ দুর্ঘটনার কথাই বলছে!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪