ঢাকা: ঘড়ির নাম দ্য ১৯৩৩ প্যাটেক ফিলিপ। ১৯২৫ সালে বানানো এ সময়কলের বর্তমান দাম ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ঘড়িটি শুধু অঢেল অর্থই নয়, মহামূল্যবান জীবনও কেড়ে নেয়। সহজ করে বললে, হাত বদল হয়ে ঘড়ি যেখানেই যায়, ডেকে আনে মৃত্যু!
সম্প্রতি মারা গেলেন এটির দ্বিতীয় মালিক কাতার রাজ পরিবারের শেখ সৌদ বিন মোহাম্মদ আল-থানি (৪৮)। কাতারের সাবেক এ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মন্ত্রী একজন আর্ট কালেক্টর (শিল্প সংগ্রাহক) হিসেবে সুপরিচিত।
আজ থেকে ১৫ বছর আগে তিনি ঘড়িটির মালিক হন। দু’দিন পরেই এটি নিলামে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এবার শোনা যাক প্রথম মালিকের কথা। কিংবদন্তি ঘড়ি নির্মাতা প্যাটেক ফিলিপকে দিয়ে জটিল এ সময়যন্ত্রটি তৈরি করান হেনরি গ্রেভস। জটিল এ জন্যে, এতে রয়েছে একটি স্থায়ী ক্যালেন্ডার, চাঁদের হিসাব পর্ব, নক্ষত্রের সময়, শক্তি সঞ্চয় রাখার ক্ষমতা এবং সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের হিসাব রাখার আলাদা কাঁটাসহ মোট ২৪টি আলাদা ফিচার। আর কাঁটাসহ ঘড়ির বাকি শরীর সোনায় মোড়া তো থাকছেই।
এত সব জটিল হিসাব ও সময় দেওয়ার যন্ত্রটি চালানো যে একটু কঠিন বা জটিলই হবে, তা বলাই বাহুল্য। যাই হোক, আমাদের নজর এদিকে নয়। ফিরে যাই অভিশপ্ততার দিকে।
হেনরি গ্রেভস ঘড়ি হাতে পাওয়ার সাত মাসের মাথায় মারা যান তার এক কাছের বন্ধু। কিছুদিন পরেই সড়ক দুর্ঘটনায় তার ছেলেও নিহত হন।
ততদিনে ঘড়ির নাম হয়ে গেছে ‘দ্য গ্রেভস’ অর্থাৎ কবর! এরপর ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে দ্য গ্রেভস হাতে আসে শেখ সৌদের কাছে। তিনিও দেখলেন কবরের মুখ।
এরপর কে দেখবেন দ্য গ্রেভস, থুড়ি কবরের মুখ?
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪