ঢাকা: শুরু হয়েছে বাংলা অগ্রাহায়ণ মাস। সকাল-সন্ধ্যায় শীতল আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
এই আবহ রাজধানীর কর্মব্যস্ত জীবনেও কাজ শেষে ঘরমুখী মানুষদের মনে করিয়ে দেয় ফেলে আসা শৈশব। শীতের পুলি-পিঠা, খেজুর রস, আমনের লাল মুড়ি আর ঝাঁকঝাঁক সাদা বক, অতিথি পাখি।
রাজধানীর আকাশ ঝাড়ু বাড়ীগুলোর ভিড়ে উঁকি দেওয়া আকাশে সারা বছর কাক ছাড়া অন্যান্য পাখি দেখা যায় না বললেই চলে। এর মধ্যে কেবল শীতকালেই দেখা মেলে শীতকালীন পাখিদের। উদ্যানে হাঁটতে বের হওয়া দাদা-নানারা সুযোগ পান আঙ্গুল ধরে থাকা নাতি-নাতনিদের নতুন পাখি চেনানোর।
ইতোমধ্যেই রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন এবং অতিথি পাখি। রোববার (১৬ নভেম্বর) বাংলানিউজের স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট রেহানা আক্তারের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এক ঝাঁক সাদা বক।
শিশির ভেজা সকালে রাজধানীর বাসাবো এলাকার নন্দীপাড়া বিলে দেখা মেলে চিল, সাদা বক, মাছ রাঙা, কানা বক এবং কিছু অতিথি পাখির।
আমুলিয়া এবং নন্দীপাড়ার মাঝামঝি এই বিলের দু’ ধারে বেশ দূরে দূরে গড়ে উঠেছে বসতি। গ্রীষ্মকালে ধান এবং শীতকালে মৌসুমী ফসল উৎপাদন করে থাকেন স্থানীয় চাষীরা। আর বর্ষায় পানি বাড়লে মাছ ধরাই হয়ে ওঠে তাদের মূল পেশা। শীতের শুরু থেকেই মাছ ধরায় অংশ নেয় নানা প্রজাতির পাখি।
স্থানীয় চাষী নুরুল মিয়ার সঙ্গে বাংলানিউজের আলাপ হয়। তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি জমলে মাছ ধরি আর পানি নেমে গেলে মৌসুমী ফসল চাষ করি।
প্রতি বছরই শীতকালে অতিথি এবং আমাদের দেশিয় পাখি দেখা যায় এই বিলে। গত ১৫ দিন থেকে আবারও পাখিদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। বিলের পানি কমে যাওয়ায় বক, মাছ রাঙা, চিল আর দু’ একটা পাখি মাছ ধরছে।
তিনি বলেন, এই এলাকায় যারা বাস করে তারা পাখি শিকার করতে দেয় না বলে পুরো শীতকাল ধরেই নানা প্রজাতির পাখি দেখা যায় বিলে।
আরো কিছু দিন পরে সকালে-সন্ধ্যায় ঝাঁকঝাঁক পাখিতে বিল ভরে উঠবে বলেও আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪