ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিন

মহাত্মা গান্ধী ও জহির রায়হানের প্রয়াণদিবস

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
মহাত্মা গান্ধী ও জহির রায়হানের প্রয়াণদিবস ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

৩০ জানুয়ারি ২০১৬, শনিবার। ১৭ মাঘ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•     ১৯৩৩ - জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে এডলফ হিটলারের পরিচিতি।
•     ১৯৭২ - কমনওয়েলথ থেকে পাকিস্তানের নাম প্রত্যাহার।
•     ১৯৮৯ - আফগানিস্তানের কাবুলে আমেরিকার দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা।

জন্ম
•     ১৮৮২ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট।

মৃত্যু
•     ১৯৪৮ - ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ নেতা মহাত্মা গান্ধী। তার পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা মহাত্মা গান্ধী ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিলো। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর। এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি ও সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।

•     ১৯৭২- প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান। ১৯৫৭ সালে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণের আগে তিনি ছিলেন সাংবাদিক। ১৯৬১ সালে তিনি রূপালি জগতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।   ১৯৬৪ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র সঙ্গম নির্মাণ করেন (এবং পরের বছর তার প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র বাহানা মুক্তি দেন।

জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ২১শে ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন জহির রায়হান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। কলকাতায় তার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়ার’ বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজি‍ৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেন। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে থাকা সত্ত্বেও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করেন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।