ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সেক্টর পরিচিতি

মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।



১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবেন।

প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।


২ নম্বর সেক্টর
ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালী নিয়ে গঠিত হয় ২ নম্বর সেক্টর। ৪- ইস্টবেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ইপিআর বাহিনী নিয়ে গঠিত হয় এ সেক্টরটি। সদরদপ্তর ছিলো আগরতলার ২০ মাইল দক্ষিণে মেলাঘরে।

মেজর খালেদ মোশাররফ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার পদে নিযুক্ত ছিলেন। পরে মেজর এটিএম হায়দার সেবছর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।

২ নম্বর সেক্টরের ছয়টি সাব-সেক্টর ও কমান্ডার-

•     গঙ্গাসাগর, আখাউড়া ও কসবা-  মাহবুব, লেফটেন্যান্ট ফারুক ও লেফটেন্যান্ট হুমায়ুন কবীর।
•     মন্দাভব - ক্যাপ্টেন গাফফার।
•     শালদা নদী - আবদুস সালেক চৌধুরী।
•     মতিনগর - লেফটেন্যান্ট দিদারুল আলম।
•     নির্ভয়পুর - ক্যাপ্টেন আকবর, লেফটেন্যান্ট মাহবুব।
•     রাজনগর- ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম, ক্যাপ্টেন শহীদ ও লেফটেন্যান্ট ইমামুজ্জামান।

২ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছে প্রায় ৩৫ হাজার গেরিলা ও প্রায় ছয় হাজার নিয়মিত বাহিনী। তাদের অভিযানে কুমিল্লা ও ফেনীর মধ্যবর্তী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয় পাকিস্তানি সেনাদের কর্তৃত্ব।

মুক্তিযুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে এ সেক্টরের কয়েকটি কোম্পানি অভিযান পরিচালনা করে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে-
নোয়াখালী কোম্পানি - সুবেদার লুৎফর রহমানের অধীনস্ত ও বেগমগঞ্জ এলাকায় অভিযানরত ছিলো।
চাঁদপুর কোম্পানি- সুবেদার জহিরুল আলম খানের অধীনে চাঁদপুর মতলব এলাকায় অভিযানরত ছিলো।

আরও ছিলো ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম চৌধুরীর অধীনে ঢাকার মানিকগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ এলাকায় অভিযানরত বাহিনী ও ক্যাপ্টেন শওকতের অধীনে ফরিদপুরে অভিযানরত একটি বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।