ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সেক্টর পরিচিতি

মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।



১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবে।

প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।

৩ নম্বর সেক্টর
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টর। সদরদফতর ছিলো হেজামারা। একাত্তরের ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার পদে সক্রিয় ছিলেন মেজর কে এম শফিউল্লাহ। এরপর মেজর এএনএম নূরুজ্জামান ২৩ জুলাই, ১৯৭১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

৩ নম্বর সেক্টরের দশটি সাব-সেক্টর ও কমান্ডার-

•     আশ্রমবাড়ি - ক্যাপ্টেন আজিজ ও ক্যাপ্টেন এজাজ।
•     বাঘাইবাড়ি - ক্যাপ্টেন আজিজ ও ক্যাপ্টেন এজাজ।
•     হাতকাটা -  ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান।
•     সিমলা - ক্যাপ্টেন মতিন।
•     পঞ্চবটী - ক্যাপ্টেন নাসিম।
•     মনতলা - ক্যাপ্টেন এমএস এ ভূঁইয়া।
•     বিজয়নগর – এমএস এ ভূঁইয়া।
•     কালাছড়া - লেফটেন্যান্ট মজুমদার।
•     কলকলিয়া - লেফটেন্যান্ট গোলাম হেলাল মোরশেদ।
•     বামুটিয়া - লেফটেন্যান্ট সাঈদ।


ইস্ট বেঙ্গল, সিলেট ও ময়মনসিংহের ইপিআর বাহিনী নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টর গঠিত হয়। এর আওতায় গড়ে উঠেছিল ১৯টি গেরিলা ঘাঁটি। প্রায় ৩০ হাজার গেরিলা যোদ্ধা কুমিল্লা-সিলেট সড়কে বেশ কতগুলো সেতু বিধ্বস্ত করে পাক-বাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সবচেয়ে সফল আক্রমণ ছিল শায়েস্তাগঞ্জের কাছে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইনের সাহায্যে একটি রেলগাড়ি বিধ্বস্ত করা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৬
এসএমএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।