ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

সেক্টর পরিচিতি

মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।



১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবেন।

প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।

৪ নম্বর সেক্টর
সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে ছিলো ৪ নম্বর সেক্টর। এ সেক্টরের প্রথম হেডকোয়ার্টার ছিলো করিমগঞ্জ। পরবর্তীতে তা আসামের মাসিমপুরে স্থানান্তর করা হয়। প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত। এরপর দায়িত্ব নেন ক্যাপ্টেন এ. রব।

প্রায় ৯ হাজার গেরিল‍া যোদ্ধা ও প্রায় চার হাজার নিয়মিত বাহিনীর ৪ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছয়টি সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন-


•    জালালপুর - মাহবুবুর রব সাদী।
•    বড়পুঞ্জী - ক্যাপ্টেন এ. রব।
•     আমলাসিদ - লেফটেন্যান্ট জহির।
•     কুকিতল - ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কাদের ও ক্যাপ্টেন শরিফুল হক।
•     কৈলাশ শহর - লেফটেন্যান্ট ওয়াকিউজ্জামান।
•     কামালপুর- ক্যাপ্টেন এনাম।

** মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।