ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সেক্টর পরিচিতি

মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টর

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।



১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবে।

প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।

৭ নম্বর সেক্টর
দিনাজপুরের দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা ইপিআর সৈন্যবাহিনী নিয়ে গঠিত হয় এ সেক্টরটি। ক্যাপ্টেন গিয়াস ও ক্যাপ্টেন রশিদের নেতৃত্বে রাজশাহীতে প্রাথমিক অভিযান চালায় এ বাহিনী। ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে শুরুতে ছিলেন মেজর নাজমুল হক। তিনি একাত্তরের ১০ এপ্রিল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন। ২৭ সেপ্টেম্বর মিত্রবাহিনীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে ভারতের শিলিগুড়ি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফেরার পথে মেজর নাজমুল হক দুর্ঘটনায় মারা যান।

এরপর মেজর কাজী নূরুজ্জামান ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।  

বালুরঘাটের নিকটবর্তী তরঙ্গপুরে অবস্থিত ছিলো এ সেক্টরের হেডকোয়ার্টার।

আটটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ৭ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন-


•     মালন - শুরুতে ইপিআরের কমিশনপ্রাপ্ত জুনিয়র অফিসারদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। পরে দায়িত্ব ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
•     তপন - মেজর নাজমুল হক।
•     মেহেদিপুর - সুবেদার ইলিয়াস ও ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
•     হামজাপুর - ক্যাপ্টেন ইদ্রিস।
•     আঙিনাবাদ - গণবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা।
•     শেখপাড়া - ক্যাপ্টেন রশিদ।
•     ঠোকরাবাড়ি - সুবেদার মুয়াজ্জেম।
•     লালগোলা - ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী।

এ সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিলো ২৫শ নিয়মিত সৈন্য ও ১২ হাজার পাঁচশো গেরিলা সৈন্য। ৭ নম্বর সেক্টরের সফল অভিযানগুলো হচ্ছে জুন মাসে মহেশকান্দা ও পরাগপুর এবং আগস্ট মাসে মোহনপুর থানা আক্রমণ। পাকিস্তানি বাহিনীর উপর হামজাপুর সাব-সেক্টরের কয়েকটি অতর্কিত আক্রমণ ও পার্বতীপুরের কাছে একটি ট্রেন বিধ্বস্ত।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
এসএমএন/এএ

** মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।