ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সেক্টর পরিচিতি

মুক্তিযুদ্ধের ১০ নম্বর সেক্টর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের ১০ নম্বর সেক্টর

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।



১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবে।

প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।

১০ নম্বর সেক্টর
১০ নম্বর সেক্টর গঠন হয়েছিলো নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে। ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা মিলে এ বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেন। তারা ছিলেন -

•     চিফ পেটি অফিসার - গাজী মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ
•     পেটি অফিসার - সৈয়দ মোশাররফ হোসেন
•     পেটি অফিসার - আমিন উল্লাহ শেখ
•     এম.ই-১ - আহসান উল্লাহ
•     আর.ও-১ - এ.ডব্লিউ.চৌধুরী
•     এম.ই-১ - বদিউল আলম
•     ই.এন-১  - এ.আর মিয়া
•     স্টুয়ার্ড-১ - আবেদুর রহমান


ভারতীয় নৌবাহিনী এ আটজন বাঙালি নাবিককে দিল্লির নিকটবর্তী যমুনা নদীতে বিশেষ নৌ-প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর পাকিস্তান নৌবাহিনীর কিছু সংখ্যক নৌ-সেনা তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেন।

বিভিন্ন সেক্টর থেকে ১৫০ জন সাঁতারে পারদর্শী স্বেচ্ছাসেবীকে এ ক্যাম্পে পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ হিসেবে তাদের বোমা নিক্ষেপ ও জাহাজ ধ্বংসের জন্য লিম্পেট মাইন ব্যবহারের কৌশল শেখানো হয়। পরবর্তী ধাপে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের  চারভাগে বিভক্ত করে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, দাউদকান্দি ও মংলা বন্দরে পাঠিয়ে উপকূলে নোঙর ফেলা জাহাজ ধ্বংস করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে এ চার দল একযোগে আক্রমণ করে বেশকিছু পাকিস্তানি জাহাজ ধ্বংস করে। এ ডব্লিউ চৌধুরীর (আর.ও-১) নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দর অন্তর্ভুক্ত দলটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ ও এমভি আল-আব্বাসসহ সাতটি জাহাজ ধ্বংস করে।

পরে অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের সব বন্দরে দলটির পক্ষ থেকে আরও কয়েকটি অভিযান চালানো হয়। এসময় বেশকিছু জাহাজ ডুবিয়েও দেওয়া হয়। এসময় এ দলের নেতৃত্ব দেন ভারতীয় কমান্ডার এমএন সুমন্ত।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
এসএমএন/এএ

** মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।