ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

স্বর্ণের টয়লেট, নাম আমেরিকা!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
স্বর্ণের টয়লেট, নাম আমেরিকা!

নিউইয়র্কের গগেনহেম জাদুঘরে শিগগিরই স্থান পাচ্ছে খাঁটি সোনার একটি টয়লেট। যা ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।

তবে শর্ত হচ্ছে, এটি ব্যবহারের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা কাছেই থাকবে।

ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাতেলান ১৮ ক্যারেট স্বর্নের এই টয়লেটটি বানিয়েছেন। যার নাম দিয়েছেন ‘আমেরিকা’।

আগামী ৪ মে গগেনহেম এর পাবলিক বাথরুমগুলোর মধ্যে একটিতে এই টয়লেটটি বসানো হবে। জাদুঘরে ঢুকলে যে কারোই এটি ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। জাদুঘরে এখনকার সিরামিকের টয়লেটের যেকোনও একটিকে পাল্টিয়ে এটি বসানো হবে। তবে তা অবশ্যই এমন একটি কক্ষে যেখানে নারী-পুরুষ যে কারোই যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

আপনি চাইলে টয়লেটটি ব্যবহার করতে পারবেন আবার স্রেফ দর্শণার্থী হিসেবে দেখেও আসতে পারবেন। গগেনহেম-এর পাবলিসিস্ট মলি স্টুয়ার্ট জানালেন, তার মতে এই প্রথম কোনও জাদুঘরে টয়লেট একটি পদর্শনীর বস্তু হচ্ছে।

ক্যাতেলানের মতে এটি আসলে অর্থনৈতিক অসমতার প্রতিপাদ্যেই তৈরি করা হয়েছে। তবে এর অর্থ দর্শণার্থীরা যে যার নিজের মতো করে নেবেন।

জনে জনে অর্থ বলে দেওয়া আমার কাজ নয়, তবে আমি মনে করি মানুষ এটি দেখেই এর অর্থটি বুঝে নেবে, বলেন ক্যাতেলান।  

এই টয়লেটের ভেতরে একজন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন, এটির কোনও বিনষ্ট যাতে না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করাই হবে তার দায়িত্ব। তবে এটি ব্যবহারকে বিনষ্ট হিসেবে দেখা হবে না।

টয়লেটটি বানাতে কত খরচ হয়েছে তা এখনো জানানো হয়নি। তবে এটি যখন প্রদর্শনীতে রাখা হবে তখন তা টানিয়ে দেওয়া হবে।

অনেকে ক্যাতেলানের এই কাজটিকে ১৯১৭ সালে মার্সেল দ্যুশাম্প-এর ‘ফাউন্টেইন’ নামের প্রশ্রাবখানার ভাস্কর্যের সঙ্গে তুলনা করছেন। নিউইয়র্ক আর্ট এক্সিবিশনে সে শিল্পকর্মটি স্থান দেওয়া হয়নি। তবে বিংশ শতকের সেরা শিল্পকর্ম হিসেবে এখনো ফাউন্টেইনকেই মনে করা হয়।

বাংলাদেশ সময় ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এমএমকে

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।