ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

ফিচার

দানি আদিবাসীদের ধোঁয়ার মমি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
দানি আদিবাসীদের ধোঁয়ার মমি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: অসাধারণ ছবিগুলোতে আত্মপ্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত একটি গাঁয়ের চিত্র। প্রথম ছবিতে রয়েছে দানি আদিবাসী প্রধান এলি ম্যাবেল।

তার কোলে হাত-পা মুড়ে মমি হয়ে রয়েছে তারই কোনো পূর্ব-পুরুষ।

পাপুয়া নিউ গিনির মধ্যবর্তী পশ্চিম পাপুয়া দ্বীপের ওয়ামেনার ওগি গ্রামে দানি আদিবাসীর বসবাস। মমি হয়ে যাওয়া আগাত মামেটার দেহ ধারণ করছে দানি আদিবাসীর প্রাচীন ঐতিহ্য।

পাপুয়ার কেন্দ্রীয় উচ্চভূমির আদিবাসীরা তাদের পূর্বপুরুষদের মরদেহ পুড়িয়ে সংরক্ষণ করেন। এ প্রক্রিয়া শত বছর ধরে তাদের নিখুঁত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

ধোঁয়ার সাহায্যে মমি তৈরির চর্চা এখন নেই। তবে দানি আদিবাসীরা এখনও তাদের পূর্বপুরুষদের সর্বোচ্চ সম্মানের প্রতীক হিসেবে এ মমি সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অক্ষুণ্ন রেখেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দানিরা সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। কিছু গ্রামে রয়েছে তাদের মূল রীতিনীতি ও ‍ছদ্ম যুদ্ধের প্রচলন।


প্রতি বছর আগস্টে দানি আদিবাসীরা উর্বরতা এবং পাপুয়া প্রদেশের কল্যাণে প্রতিবেশী লানি ও ইয়ালি আদিবাসীদের সঙ্গে ছদ্ম যুদ্ধ করে। এর আরেক উদ্দেশ্য তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য সমুন্নত রাখা।

১৯৩৮ সালে নিউ গিনিতে প্রাণিবিজ্ঞান সম্পর্কিত অভিযানের সময় আমেরিকান প্রাণী বিশারদ রিচার্ড আর্কবোল্ড দানি, লানি ও ইয়ালি আদিবাসী গোষ্ঠী আবিষ্কার করেন।

দানি আসিবাসী পুরুষেরা কটেকা নামক স্বাতন্ত্র্যসূচক উপজাতীয় বেশভূষা পরিধান করে। তাদের মুখে আঁকা থাকে নকশা। পশুর হাড় ও পাখির পালক তাদের সাজের অনুষঙ্গ। অন্যদিকে নারীরা পরে অর্কিড আঁশ দিয়ে তৈরি স্কার্ট। এটি তাদের কাছে নোকেন নামে পরিচিত।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।