ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

কোরান অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেনের শততম মৃত্যুবার্ষিকী

মোর্শেদ শাহরিয়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০
কোরান অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেনের শততম মৃত্যুবার্ষিকী

১৫ আগস্ট রোববার, পবিত্র কোরানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদকারী গিরিশ চন্দ্র সেনের ১০০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৩৪ সালে নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের পাঁচদোনা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে গিরিশ সেন জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯১০ সালের ১৫ আগস্ট ৭৬ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।



‘গিরিশ চন্দ্র সেন পরিচিতি’ শীর্ষক একটি সংকলন থেকে জানা যায়, সুদীর্ঘ ছয় বছর অকান্ত পরিশ্রম করে ১৮৮৬ সালে গিরিশ চন্দ্র সেন পবিত্র কোরান শরিফ বাংলায় অনুবাদ ও তা প্রকাশ করেন। এ কারেণ তৎকালীন আরবি শিক্ষক, মৌলভি ও মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন গিরিশ চন্দ্র সেনকে মাওলানা রূপে আখ্যায়িত করেন। মাওলানা গিরিশ চন্দ্র সেন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্মবিষয়ক ২২টি গ্রন্থ অনুবাদ এবং ১৩টি নববিধান বিষয়ক ধর্মপুস্তক রচনা করেন।

গিরিশ চন্দ্র সেনের পিতা মাধব রায় সেন ছিলেন নবাব আলীবর্দী খাঁর দেওয়ান দর্পনারায়ণ রায়ের বংশধর। গিরিশ ছিলেন তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার বয়স যখন ১০ বছর তখন তার পিতা মাধব রায় সেন মারা যান।

পবিত্র কোরান শরিফের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদকারী গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িসহ যাবতীয় সম্পত্তি একটি প্রভাবশালী মহল তার আত্মীয়পরিজন সেজে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ মহৎ মানুষটির স্মৃতি রক্ষায় নেই কোনো উদ্যোগ। তার মৃত্যুর ১০০ বছর পরও তার জন্মস্থানে এ পর্যন্ত কোনো স্মৃতিফলকও নির্মিত হয়নি, বরং একটি গোষ্ঠী তার যাবতীয় স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গিরিশ চন্দ্র স্মৃতি সংসদের সদস্যরা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে  জানান, দীর্ঘদিন আগে গিরিশ চন্দ্র স্মৃতি সংসদ গঠন করা হলেও এটি কোনো দিক থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। এ ব্যক্তিত্বের স্মরণে প্রতি বছর ক্ষুদ্র আকারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলেও যাঁরা তার স্মৃতিকে ধরে রাখায় সক্রিয় ছিলেন তাদের অনেকেই প্রয়াত। উপরন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তার স্মৃতিকে মুছে ফেলতে তৎপর।

গিরিশচন্দ্র সেনদের বাড়িঘর এবং অনেক জমিজমা ছিল।   কিন্তু সেসবের কিছুই আজ আর তার নামে নেই। তাঁর স্মৃতিচিহ্ন বলতে এখন শুধু আছে বসতবাড়ির ভিটায় দোতলা বাড়ির ভাঙা কিছু ইটের চিহ্ন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৫৫, আগস্ট ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।