ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

অদ্ভুত কিছু সামরিক অস্ত্র

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৮
অদ্ভুত কিছু সামরিক অস্ত্র অদ্ভুত সামরিক অস্ত্র

ঢাকা: সভ্যতার শুরু থেকে মানবজাতি তৈরি করে চলেছে মারণাস্ত্র। এক সময় মানুষ যুদ্ধ করতো পাথর বা হাড়ের তৈরি হাতিয়ার দিয়ে। এরপর এসেছে ঢাল-তলোয়ার। এখন এসবের যুগ শেষ। বর্তমানে বন্দুক বা যুদ্ধ বিমানের পাশাপাশি উদ্ভাবন হয়েছে কিছু আজব আজব সমরাস্ত্র। দেখে নেওয়া যাক সমরাস্ত্র নির্মাতাদের কিছু উদ্ভট উদ্ভাবন।

রোবট কুকুরগন্ধ শুকে বোম্ব শনাক্ত করতে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহৃত হয় কুকুর। মানুষের অতি উপকারী প্রাণী এই কুকুর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য রোবট নির্মাণ করেছে ‘বোস্টন ডায়নামিক্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

সাধারণ কুকুরের চেয়ে কয়েকগুণ বড় আকৃতির এ রোবট ধীরগতির হলেও উঁচু-নিচু পাহাড়ি এলাকায় চলাচলের উপযোগী। মূলত সৈন্যদের অতিরিক্ত বোঝা বহনে কাজে আসবে এ রোবট। বর্তমানে আফগানিস্তানে এ রোবটটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
দৃষ্টি-আচ্ছন্নকারী রাইফেলএ অস্ত্রটি আপনাকে মেরে ফেলবে না, তবে কিছুক্ষণের জন্য আপনাকে অন্ধ করে ফেলবে। রাইফেলটির নাম ‘পিএইচএএসআর’। জিম্মি পরিস্থিতির মতো ঘটনা সামাল দিতে এটা খুব কার্যকরী। তবে রাইফেলটির একটিই সমস্যা, জাতিসংঘ যুদ্ধক্ষেত্রে এ ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ করেছে।

এনার্জি প্রোজেক্টাইল
এ অস্ত্রটি প্রাণঘাতী নয়। এটা এক ধরনের লেজার নিক্ষেপ করে যা শত্রুর কাছাকাছি এসে বিস্ফোরিত হয়। এতে মানুষের নার্ভে প্রচণ্ড ব্যাথা সৃষ্টি হয় এবং অজ্ঞান হয়ে যায়।
বাদুড় বোমাদ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় মার্কিন মেরিন করপোরেশন নতুন একটি আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করে। তারা বাদুড়কে আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে। বাদুড়ের গায়ে বিস্ফোরক যুক্ত করে এর ইকোলোকেশনকে প্রভাবিত করে তা টার্গেটের দিকে ধাবিত করা হয়। পেনসিলভানিয়ার একজন ডেন্টিস্ট মূলত এ আইডিয়ার উদ্ভাবক। কিন্তু অ্যাটমিক বোমকে অধিক কার্যকরী মনে হওয়ায় বাদুড় বোমা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি।
সোভিয়েত যুদ্ধ ডলফিনযুদ্ধক্ষেত্রে ডলফিন ব্যবহারের প্রকল্প প্রথম শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৬০ সালে। মূলত সাগরতলের যুদ্ধযান শনাক্তের জন্য ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে ডলফিনদের এ কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রও।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।