ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়িটির ক্রেতা মিলছে না!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৮
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়িটির ক্রেতা মিলছে না! ব্যয়বহুল এ বাড়িটির ক্রেতা মিলছে না

ঢাকা: ফ্রান্সের পাহাড়ি উপকূলে অবস্থিত ১৮ হাজার স্কয়ার ফুটের ভিয়া লেস সেদ্রেসকে বলা হয় বিশ্বের ‘সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি’। ৩০৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা) মূল্যের বাড়িটি প্রায় আট মাস আগে বিক্রির বাজারে তোলা হলেও পাওয়া যায়নি যোগ্য ক্রেতা।

৩৫ একর জমির ওপর ১৪ বেডরুমের ভিয়া লেস সেদ্রেস নির্মিত হয় ১৮৭ বছর আগে। দক্ষিণ ফ্রান্সের সেন্ট-জেন-ক্যাপ-ফেরাত উপকূলের মনোরম পরিবেশে চমৎকার বাগান গড়ে তোলা হয়েছে বাড়ির আঙ্গিনাজুড়ে।

বাগানে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার প্রকার গাছাপালা। রয়েছে কিছু বিরল প্রজাতির ট্রপিক্যাল উদ্ভিদও।

ব্যয়বহুল এ বাড়িটির ক্রেতা মিলছে নাঅসাধারণ একটি অলিম্পিক সাইজ সুইমিং পুল রয়েছে এতে। নিজস্ব আস্তাবলে রয়েছে ৩০টি পর্যন্ত ঘোড়া রাখার ব্যবস্থা। বাগানের সীমানাজুড়ে সারি সারি দারূবৃক্ষের (স্থানীয় ভাষায় সেদ্রেস) নামানুসারেই এই বাড়ির নাম দেওয়া হয়।

বাড়িটির সর্বশেষ মালিক ইতালিয়ান পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি ডেভিড কাম্পারি-মিলানো এসপিএ। ১৮৩০ সালে নির্মাণের পর ক্রয়সূত্রে বাড়িটির প্রথম মালিক হলেন ভিলেফ্রান্সে-সার-মের শহরের মেয়র। ওই আমলে বাড়ির সীমানার ভেতর জলপাই গাছের বাগান ছিল।

ব্যয়বহুল এ বাড়িটির ক্রেতা মিলছে না

১৯০৪ সালে মেয়রের বংশধর বাড়িটি বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপার্ডের কাছে বিক্রি করে দেন। বেলজিয়াম ওইসময় কঙ্গোতে উপনিবেশ স্থাপনের মাধ্যমে বেশ সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে। তার আমলে বাড়িটির বাগানের পরিধি আরও বাড়ানো হয়। আনা হয় দেবী এথেনার একটি তামার মূর্তি ও মার্বেল পাথরের বিভিন্ন সাজ-সজ্জা।

লিওপার্ড মারা যাওয়ার ১৫ বছর পর ১৯২৪ সালে ভিয়া-লেস-সেদ্রেস বিক্রি হয় মারনিয়ের-ল্যাপোস্তয়ি পরিবারের কাছে। বিশেষ ধরনের মদ উৎপাদনে প্রসিদ্ধ পরিবারটি প্রায় ৮০ বছর ধরে বাড়িটির বাগানে বিভিন্ন প্রকার বিরল উদ্ভিদ চাষাবাদ করে আসছে।

ব্যয়বহুল এ বাড়িটির ক্রেতা মিলছে নাবাগানের প্রধান মালি ও বিশিষ্ট সংরক্ষণবাদী মার্ক তেরিয়ের বলেন, বাড়ির কাছাকাছি একটি ফলের বাগানে একধরনের টক কমলালেবুর চাষাবাদ হয় যা গ্র্যান্ড মারনিয়ের পানীয় তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ২০১৬ সালে বাড়িটি অধিগ্রহণ করে নেয় গ্র্যান্ড মারনিয়েরের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। সেভিয়ার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মাধ্যমে বিলাসবহুল ম্যানশনটি বিক্রির জন্য তোলেন তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৮
এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।