নয়া দিল্লির সাউথ ব্লকের কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভারত সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বি কে সিং, পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে পররাষ্ট্র সচিব গোখলে বলেন, গত ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প,সংযোগ, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বেশকিছু বিষয়ে দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির প্রথম দেশ বাংলাদেশ। সুতরাং, সরকার দুই দেশের সম্পর্ককে সব সময় গুরুত্ব দেয়।
‘দুই দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারত সব সময় সচেতন। বিশেষ করে সীমান্তে স্থিতাবস্থা, সন্ত্রাসবাদ, কালোবাজারি, মাদকপাচার প্রভৃতি ক্ষেত্রে। বর্তমান সরকার যৌথ বোঝাপড়ার মধ্যেদিয়ে সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ছে। দুই দেশ মিলে একত্রে অনেকগুলো কাজ করছে যেগুলো দুই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। যেমন রেললাইন, তেলের পাইপ লাইন ইত্যাদি। ’
‘অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগর মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভারতের কেন্দ্রবিন্দু। ’
গোখলে আরও বলেন, বর্তমানে সরকারের প্রধান মনোযোগ দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও কীভাবে উন্নত করা যায়, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ে। এ অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ এবং বঙ্গোপসাগর বিশেষ গুরুত্বপূর্র্ণ অর্থনৈতিক হাব পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বি কে সিংও নির্বাচনের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণসহ এসব বিষয়ে একই সুরে কথা বলেন।
সাউথ ব্লক কূটনৈতিক সূত্র আরও জানায়, নিজেদের পরিবেশ-প্রতিবেশ ক্ষতি করে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ ঔদার্য দেখিয়েছে তাকে ভারত নতশিরে সম্মান জানায়। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জন্য এ চ্যালেঞ্জ নেওয়া অনেক বড় বিষয়। ভারত সব সময় রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে পাশে রয়েছে।
কূটনীতিকরা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা অনেকবার কথা বলেছি। বাংলাদেশকে প্রথম থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে ভারত। এরইমধ্যে ভারত তিন দফায় ত্রাণ সহায়তা দিয়ে মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছে। আরও বড় সহযোগিতার জন্য আলোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকেও পাশে দাঁড়াতে হবে। মিয়ানমারে স্থাপনা তৈরি করেও ভারত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে। প্রকৃত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরে যেতেই হবে। যে কোনো দেশের জন্যই ১০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া কঠিন। বাংলাদেশের জন্য সেটা আরও বড় বোঝা। আর বাংলাদেশ মিয়ানমার বিষয়টি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
** ‘তিস্তা ইস্যুর কী হবে সেটা মমতা দি জানেন’
** ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এএ