ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

৬ দশকে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ২৫০০ পুঁথি সংগ্রহ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
৬ দশকে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ২৫০০ পুঁথি সংগ্রহ জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

দীর্ঘ ছয় দশকের সাধনায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ আড়াই হাজারের মত পুঁথি সংগ্রহ করেন। তার সংগৃহীত পুঁথির মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম উভয় কবির বিরল সৃষ্টি আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয় এবং বিশেষভাবে বাংলা সাহিত্যে মুসলিম অবদানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পরবর্তীকালে যারাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করেছেন তাদের গবেষণায় সাহিত্যবিশারদের সংগৃহীত ও ব্যাখ্যাকৃত পুঁথি বিশেষ সহায়তায় এসেছে।

বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমির একক বক্তৃতানুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এমনটাই বলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

বুধবার (১০ অক্টোবর) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

মুসলিম বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নির্মাণে 'সাহিত্যবিশারদের ভূমিকা' শীর্ষক বক্তব্য রাখেন ড. তারিক মনজুর।

বক্তারা বলেন, রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তার একজীবনের শ্রম ও সাধনায় বিপুলসংখ্যক পুঁথি সংগ্রহ করেছেন, পাঠোদ্ধার সম্পন্ন করেছেন। তার আবিষ্কৃত পুঁথিসমূহকে সঙ্গত কারণেই ‘মধ্যযুগের মুসলিম বাংলা সাহিত্যে প্রবেশপথের প্রদীপ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক উপায়ে পুঁথি সংরক্ষণেও সাহিত্যবিশারদের অবদান অবিস্মরণীয়। সংগ্রহকর্মকে সাহিত্যের বহমান ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে তিনি পুঁথির যথাযথ ব্যাখ্যা-ভূমিকা-টীকাভাষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে পুঁথির পরিচিতি নির্মাণ করেছেন। তিনি যেমন ইসলামাবাদ নামক গ্রন্থের মাধ্যমে আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চায় সাফল্যের পরিচয় রেখেছেন, তেমনি সাহিত্য সম্পর্কিত প্রবন্ধগুচ্ছ ধারণ করেছে তার স্বতন্ত্র চিন্তাপদ্ধতির ধারক্রম। গবেষণার জন্য তিনি নিজ জীবনে স্বল্পে সন্তুষ্ট থেকেছেন কিন্তু বাংলা সাহিত্যের জন্য রেখে গেছেন তার অমূল্য দান।

স্বাগত ভাষণে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলা পুঁথির স্বকীয় আবেদন সৃষ্টিতে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।