ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

শিল্পকলায় ‘বাংলাদেশের নৌকা’র আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
শিল্পকলায় ‘বাংলাদেশের নৌকা’র আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানচিত্রে এক সময় জালের মতো ছড়িয়ে ছিল প্রায় এক হাজার ৩০০ নদ-নদী। সেইসঙ্গে ছিল অসংখ্য খাল-বিল, হাওর-বাওড়। তখন পথের প্রধান বাহনই যেনো ছিল নানা আকৃতি ও ধরনের বৈচিত্রময় নৌকা। যা শুধু যাতায়াতকেই সহজ করে তুলতো না, নদ-নদীর সৌন্দর্যকেও বাড়িয়ে তুলতো কয়েকগুণ। সেসব নৌকার রূপ তুলে ধরেই শুরু হয়েছে আলোকচিত্রী এমএ তাহেরের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশের নৌকা’।

শনিবার (০১ ডিসেম্বর) থেকে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয় বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় নৌকার এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এ দিন বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এর উদ্বোধনী আয়োজন।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান চিত্রশিল্পী হাশেম খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন আলোকচিত্রী এমএ তাহের। আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে বক্তারা বলেন, নদ-নদীর স্রোত ও নাব্যতাহীনতা, দূষণ, দস্যুদের নদ-নদী ভরাট ও দখল এবং জলাধারের প্রবাহে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে অসংখ্য নদ-নদী আজ মৃতপ্রায়। সেইসঙ্গে কমে যাচ্ছে কয়েক হাজার বছরের পুরোনো অন্যন্য ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এই দেশের অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকার সংখ্যা ও বৈচিত্র্য।

‘বাংলাদেশের নৌকা’ শিরোনামের এ প্রদর্শনী আমাদের যেমন ফিরিয়ে নিয়ে যাবে গৌরবময় অতীতের কাছে, তেমনি এই প্রজন্মের কাছেও হাজার বছরের ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকা’র বৈচিত্র্যময়তা তুলে ধরবে।

প্রদর্শনীতে ঠাঁই পাওয়া ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শক পরিচিত হতে পারবেন তালের ডোঙা, কোশা নৌকা, মাছ ধরার ছোট নৌকা, কার্গো নৌকা, মালার নৌকা, খেয়া পারাপারের সাম্পান, সামুদ্রিক নৌকা, বেদে নৌকা, বারকি নৌকা ও ছইওয়ালা নৌকার সঙ্গে। এসব নৌকা তৈরির মাধ্যম নৌকা চালানোর নানা কৌশল ও নৌকাকে কেন্দ্র করে জীবিকাবহন করা মানুষের যাপিত জীবনের আলোকচিত্রও আছে প্রদর্শনীতে।

১৬ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।