তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রোববার। ১২ ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
• ১৭৮৬- লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত।
• ১৮৪৮- ফরাসি বিপ্লবোত্তর ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী সরকার বা দ্বিতীয় প্রজাতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়।
• ১৮৭৬- অবিভক্ত বাংলার প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রামগাড়ি কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চালু।
• ১৮৯১- ব্রাজিলে ফেডারেল পদ্ধতির সংবিধান চালু।
• ১৮৯৫- কিউবা স্পেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
• ১৯১৮- রাশিয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এস্তোনিয়া।
• ১৯৩৮- যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নাইলনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু।
• ১৯৩৯- আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে উরুগুয়ের যুদ্ধ ঘোষণা।
• ১৯৪৮- লুই ফিলিপের ফ্রান্সের সিংহাসন ত্যাগ।
• ১৯৭২- বাংলাদেশকে ফিলিপাইনের স্বীকৃতি দান।
• ১৯৭৫- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠিত হয়।
জন্ম
• ১৩০৪- বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতা।
মুহাম্মদ ইবনে বতুতা সুন্নি মুসলিম পর্যটক, চিন্তাবিদ, বিচারক এবং সুন্নি ইসলামের মালিকি মাজহাবে বিশ্বাসী একজন ধর্মতাত্বিক। তিনি সারাজীবন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পৃথিবী ভ্রমণের জন্যই তিনি মূলত বিখ্যাত হয়ে আছেন। ২১ বছর বয়স থেকে শুরু করে জীবনের পরবর্তী ৩০ বছরে তিনি প্রায় ৭৫ হাজার মাইল পথ পরিভ্রমণ করেছেন। তিনিই একমাত্র পরিব্রাজক যিনি তার সময়কার সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন এবং তৎকালীন সুলতানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
• ১৭৮৬- জার্মান লেখক ভিলহেল্ম গ্রিম।
• ১৯৩৯- বাংলাদেশের বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ জামাল নজরুল ইসলাম।
• ১৯৪৩- বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান জনপ্রিয় গায়ক ও গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন।
• ১৯৫৫- অ্যাপল কম্পিউটার এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস।
মৃত্যু
• ১৮১০- ইংরেজ পদার্থবিদ স্যার হেনরি ক্যাভেনডিস।
• ১৮৯২- রুশ লেখক কনস্তানতিন ফেদিন।
• ১৮৯৯- বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিষ্ঠাতা পল জুলিয়াস ফন রয়টার্স।
• ১৯৯৯- বাংলা সাহিত্যের গবেষক ও অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ।
শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, লেখক ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গবেষক। ১৯২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডী গ্রামে তার জন্ম। খ্যাতনামা পুথি সংগ্রাহক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন তার চাচা। তেত্রিশ বছর অধ্যাপনা শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালের ৩০ জুন অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’বছরের (১৯৮৪-৮৬) জন্য নজরুল অধ্যাপক পদে সমাসীন ছিলেন। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ তারই সম্পাদিত ষোল শতকের কবি দৌলত উজির বাহরাম খাঁর লায়লী-মজনু (১৯৫৭)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগেরও প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ তার সম্পাদিত পুথি পরিচিতি (১৯৫৮)। এতে সাহিত্যবিশারদ প্রদত্ত ছয়শ পুথির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি আছে। অধ্যাপক শরীফ মধ্যযুগের চল্লিশোর্ধ্ব কাব্যের পুথি সম্পাদনা করেছেন। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: আলাওলের তোহফা (১৯৫৮) ও সিকান্দরনামা (১৯৭৭), মুহম্মদ খানের সত্য-কলি-বিবাদ-সংবাদ (১৯৫৯), মুসলিম কবির পদসাহিত্য (১৯৬১), জয়েনউদ্দীনের রসুলবিজয় (১৯৬৪), মুজাম্মিলের নীতিশাস্ত্রবার্তা (১৯৬৫), মধ্যযুগের রাগতালনামা (১৯৬৭), বাঙলার সূফীসাহিত্য (১৯৬৯), আফজল আলীর নসিহতনামা (১৯৬৯), বাউলতত্ত্ব (১৯৭৩), সৈয়দ সুলতানের নবীবংশ, রসুলচরিত (১৯৭৮) ইত্যাদি। ১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার জীবনাবসান ঘটে, কিন্তু তার আগেই তিনি তার মরদেহ উৎসর্গ করে গিয়েছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
টিএ