তার মতে, দুর্ঘটনা পরবর্তী সময় বেঁচে আছেন বোনাস হিসেবে। আর এ কারণে এলাকার লোকজন তাকে ‘বোনাস মোল্লা’ নামেই ডাকেন।
অসুস্থ থাকার সময় তিনি অনুভব করেন তাকে নিয়ে তার পরিবারের দুর্দশা। একটা লোক অসুস্থ হলে তাদের পরিবার কি অসহায় হয়ে পড়ে ওই সময়টাতেই বুঝতে পারেন তিনি। আর এ উপলব্ধি থেকেই তার এই ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
তিনি বলেন আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে আমি কাজটা শুরু করি। আল্লাহ বলেছেন, আমাকে পেতে হলে আমার সৃষ্টিকে ভালোবাসো। আর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হলো মানুষ। সেই মানুষকে একটু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
অনেক সময় রাস্তায় দেখা যায় অনেক গরিব অসুস্থ রোগী বাসে উঠতে পারে না অথবা বাসে তাদের নেয় না; অ্যাম্বুলেন্স/অটোরিকশায় যাবেন সেই ভাড়া নেই। তিনি তাদের ডেকে নেন এবং ফ্রি তে পৌঁছে দেন হাসপাতাল। যাদের একেবারে ফ্রি নেন তাদের নাম-ঠিকানা মোবাইল নম্বর একটি ডায়েরিতে লিখে রাখেন। তার ফ্রি সেবা দেওয়া অধিকাংশ রোগীই প্রতিবন্ধী।
গাড়িতে একটি দানবাক্স রেখেছেন। যেসব রোগীর ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই তাদের সেই টাকা থেকে ওষুধ কিনে দেন। নিজের ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে সবাইকে বিতরণ করেন। কোনো অসুস্থ গরিব রোগীর সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।
ফোরকান মিয়া মূলত গাজীপুরের অটোরিকশা চালক। যার কারণে তার অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশের অনুমতি নেই। আর এ কারণেই তাকে মাঝে-মধ্যেই পড়তে হয় পুলিশি ঝমেলায়।
যখন রোগী নিয়ে আসেন তখন তেমন ঝামেলা না হলেও গাজীপুরের গাড়ি হওয়ার কারণে ফেরার পথে প্রায়শই ঝামেলায় পড়তে হয়। মানুষের সেবার জন্য যেহেতু ফ্রি সার্ভিস দেন তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন তাকে যেন হয়রানি করা থেকে বিরত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এসএইচ/এএ