এ পর্যন্ত যতোগুলো ছবি জমা হয়েছে প্রতিযোগিতাটিতে, তার মধ্যে বাংলাদেশেরও একটি ছবি রয়েছে। সবগুলো ছবিই নজর কেড়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের ছবিটির বর্ণনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ঢাকা, যেখানে শহরের শেষ আর জাহাজের শুরু হয়, সেখানের একটি ছবি তুলেছেন আজিম খান রনি। দেশটিতে ইট, বালু এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনের জন্য বড় ধরনের যেসব জাহাজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেসব যেখানে বানানো বা সংস্কার করা হয় ছবিটি সেখানের। ২০০৯ সালে এ দেশের জাহাজ নির্মাতারা অন্যান্য দেশে জাহাজ রফতানি শুরু করেন এবং অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান এ শিল্প বেড়ে উঠছে, বাড়ছে বাণিজ্য। এদিকে, প্রথম ছবিটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের। এর বর্ণনায় বলা হয়েছে, যদি তুমি পড়ে যাও... আবার উঠো! এমন ইঙ্গিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ন্যাশনাল পার্ক থেকে ডেয়ারডেভিল স্ল্যাংলিনারের একটি ছবি তুলেছেন অভিষেক সাব্বারওয়াল। ফটোগ্রাফার বলেছেন, প্রথমবারের মতো এই পার্কে এমন একটি বিপজ্জনক ছবি তিনি তুলতে পেরেছেন। তৃতীয় ছবিটি হলো- একটি মা সিংহ তার শাবককে রক্ষাণাবেক্ষণ করছে এমন। পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া থেকে ছবিটি তুলেছেন সোনালিনি কেথারাপাল। তিনি বলছেন, আমরা খুবিই ভাগ্যবান। কেননা, সিংহ তার শাবককে ভালোবাসা দিচ্ছে, এমন একটি বিরল দৃশ্য আমরা ধরতে পেরেছি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এ প্রতিযোগিতাটিকে আরেকটি ছবি দেখা গেছে, মাঠে নাটকীয়ভাবে দু’টি গরু দৌড়াচ্ছে এমন। যা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ থেকে তুলেছেন ডেল জনসন। তিনি বলেন, একজন লোক দু’টি গরু দিয়ে হালচাষ করছেন। গরু দু’টি অস্বাভাবিকভাবে দৌড়াচ্ছিল, লোকটিও পেছন পেছন যাচ্ছিলেন- এমন ছবিটি তুলতে পেরে আমি আনন্দিত।
প্রতি বছরই হয়ে থাকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের নতুন ভ্রমণ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় ছবি জমা দেওয়ার শেষ সময় ০৩ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। এরপরে আর ছবি গ্রহণ করবে না কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট এই সময়ের মধ্য তিনটি ক্যাটাগরিতে ছবি জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। ক্যাটাগরিগুলো হলো- প্রকৃতি, শহর এবং মানুষ।
এবার এর গ্রান্ড পুরস্কার বিজয়ী পাবেন পাঁচ হাজার ৭০০ পাউন্ড, ঢাকায় ছয় লাখ ৩২ হাজার ৮০০ প্রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
টিএ