তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
১১ জুন, ২০১৯, মঙ্গলবার। ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৭২৭ - দ্বিতীয় জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৭৬০ - মহীশুরের নবাব হায়দার আলির সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৮৮ - রাশিয়ার অভিযাত্রী গেরাসিম ইসমাইলভ আলাস্কায় পৌঁছান।
১৮৪৬ - মৌলবি ফরিদ উদ্দিন খাঁর সম্পাদনায় বহুভাষিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘জগদুদ্দীপক ভাস্কর’ প্রকাশিত হয়।
১৯৪২ - সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জন্ম
১৫৭২ - বেন জনসন, ব্রিটিশ কবি ও নাট্যকার।
১৮৯৭ - রাম প্রসাদ বিসমিল, ভারতের বিপ্লবী।
১৮৯৯ - ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা, নোবেলজয়ী (১৯৬৮) জাপানি সাহিত্যিক।
১৯০১ - প্রমথনাথ বিশী, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৪৭ - লালু প্রসাদ যাদব, বিহারের রাজনীতিবিদ।
মৃত্যু
খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ – বীর আলেকজান্ডার।
আলেকজান্ডার গ্রিক অঙ্গরাজ্য মেসিডোনিয়ায় জন্ম নেওয়া বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সাম্রাজ্যের সম্রাট। ৩৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত দার্শনিক অ্যারিস্টটলের কাছে শিক্ষালাভ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৬ সালে রাজা দ্বিতীয় ফিলিপকে হত্যা করা হলে বাবার স্থলাভিষিক্ত হন আলেকজান্ডার। বাবার স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে তিনি পারস্য অভিমুখে সেনাবাহিনী পরিচালনা করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৪ সালে পারস্য সাম্রাজ্য আক্রমণ করেন, আনাতোলিয়া শাসন করেন ও পরের দশ বছর অনেকগুলো সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। ফলে তার সাম্রাজ্য আড্রিয়াটিক সমুদ্র থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত। ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্যাবিলন শহরে মৃত্যুর পর সেনাপতি ও উত্তরাধিকারীদের মধ্যে তার অধিকৃত সাম্রাজ্য বহু খণ্ডে ভেঙে যায়।
১৮৬০ - রামকমল ভট্টাচার্য, বাঙালি পণ্ডিত ও গ্রন্থকার।
১৯৩৬ - রবার্ট ই. হাওয়ার্ড, মার্কিন লেখক।
১৯৬২ - ছবি (শচীন্দ্রনাথ) বিশ্বাস, চলচ্চিত্র ও নাট্যাভিনেতা।
১৯৭০ - লীলা রায়, নারীনেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী ও দেশব্রতী।
বাংলার নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবরে ভারতের আসাম প্রদেশের গোয়ালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃ-পরিবার ছিল তৎকালীন সিলেটের অন্যতম সংস্কৃতমনা ও শিক্ষিত একটি পরিবার। পিতার নাম গিরিশ চন্দ্র নাগ ও মাতার নাম কুঞ্জলতা নাগ। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী অনিল রায়ের সাথে বিবাহ হওয়ার পর তার নাম হয় লীলা রায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এমএমইউ